ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আরও দু’বছর খেলবেন আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৬
আরও দু’বছর খেলবেন আফ্রিদি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর (ফাইল ফটো)

ঢাকা: আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের প্রাথমিক দল এবং ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন পাকিস্তানের সিনিয়র অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এমন পরিস্থিতিতেও ভেঙে পড়েননি দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক।

বরং জানিয়েছেন, আরও দু’বছর ক্রিকেট খেলবেন তিনি।

 

সম্প্রতি আফ্রিদিকে ক্রিকেট থেকেই সড়ে দাঁড়াতে উপদেশ দিয়েছিলেণ দেশটির কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার আবদুল কাদির। আফ্রিদির প্রসঙ্গে কাদির জানান, ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো তার আর কিছু বাকি নেই। এখনই সময় ক্রিকেটকে তার ‘গুডবাই’ জানানো।

 

তবে, আফ্রিদি উল্টো জানালেন, ক্রিকেটকে ‘গুডবাই’ জানানোর এখনও সময় আসেনি। ক্রিকেটকে আরও দুই বছর দেওয়ার মতো অবস্থা আছে আমার। কারণ, আমি এখনও ক্রিকেটকে উপভোগ করি। ঘরোয়া লিগ কিংবা বিদেশি লিগে খেলার মতো এখনও বাকি আছে। দেশের জার্সি গায়ে আমি এখনও খেলা চালিয়ে যেতে চাই।

দেশের হয়ে মাত্র ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন আফ্রিদি। ৪০০টি ওয়ানডে ম্যাচ থেকে মাত্র দুটি ম্যাচ কম খেলা এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন পাকিস্তানের জার্সি গায়ে। ২১২টি টি-টোয়েন্টি আর ৪৯৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা ৩৬ বছর বয়সী আফ্রিদিকে চলতি ক্যাম্পে রাখেননি পাকিস্তানের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক।

সেখানে ৩৫ জনের প্রাথমিক তালিকায় ছিল না আহমেদ শেহজাদ, উমর আকমল ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নেওয়া আফ্রিদির নাম। এ প্রসঙ্গে ইনজামাম জানিয়েছিলেন, আফ্রিদির বর্তমান পারফরমেন্স আস্থাজনক নয়। আমি চাই আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের জন্য আমাদের যে অনুশীলন ক্যাম্প চলবে সেখানে তাকে না রাখতে। এতে সে লম্বা সময় বিশ্রাম পাবে। তার পুরোনো ফর্মে ফেরার জন্য এ সময় সে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে।

আফ্রিদি জানান, আরো দুই বছর আমি নিজেকে ক্রিকেটে জড়িয়ে রাখতে চাই। আমাকে যখনই নির্বাচকদের প্রয়োজন হবে তখনই আমি দেশের জন্য খেলতে প্রস্তুত। নির্বাচকরা নতুন দল গঠনের প্রতি নজর দিয়েছেন। এটা অবশ্যই ভালো একটি দিক। আর একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।

এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ ছিল পাকিস্তান। দেশে ফিরে বোর্ডের কাছে ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করে রিপোর্ট করেন সে সময়কার কোচ ওয়াকার ইউনুস ও দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম। তাদের রিপোর্টে ছিল এশিয়া কাপের আসর ও বিশ্বমঞ্চের আসরে আফ্রিদি সিরিয়াস ছিলেন না, টিম মিটিংয়েও অনুপস্থিত থাকতেন। শুধু তাই নয়, দলের অনুশীলনেও সব সময় থাকতেন না আফ্রিদি। রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয় আফ্রিদি দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হলেও পাকিস্তান জাতীয় দলের ভালোর জন্য তাকে দল থেকে দূরে রাখা দরকার।

বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরে নিজে থেকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আফ্রিদি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, ০১ জুন ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।