ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

তামিমের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে আবাহনী

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৬
তামিমের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে আবাহনী ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

বিকেএসপি থেকে: প্রাইম দোলেশ্বর, রুপগঞ্জ, ভিক্টোরিয়ার পর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে সুপার লিগ নিশ্চিত করলো আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপিতে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে (সিসিএস) বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটে হারিয়ে ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করলো তামিম ইকবালের দলটি।

সোমবার (০৬ জুন) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সিসিএসের দেয়া ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টির থামার পর ৩৫ ওভারে ১৬৮ রানের টার্গেট দেয়া হয় আবাহনীকে। তামিম ইকবালের অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৫) ও নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে (৫৩) ২৬.৪ ওভারে এক উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী।

৮৬ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তামিম। ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় তামিম তার ইনিংসটি সাজান। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮৩ বলে। অথচ হাফ সেঞ্চুরি করতেই খেলে ফেলেন ৫৬ বল। পরের ৫০ রান আসে মাত্র ২৭ বলে। তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিং আবাহনীকে এনে দেয় আত্মবিশ্বাসী এক জয়।

সিসিএসের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন নাজমুস সাকিব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার আর নিজের প্রথম ওভারে ইউসুফ পাঠানকে (৮) ফেরান এ পেসার।

সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজিন সালেহর ৯৫ ও মোহাম্মদ সাইফু্দ্দিনের ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ২০৫ রান করে সিসিএস। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর শুরু হয় ম্যাচটি। দলীয় ১৬ রান তুলতেই পিনাক ঘোষ (৪) ও সাইফ হাসানের (৯) উইকেট হারায় সিসিএস। শুরুর দুটি উইকেটই নেন পেসার আবুল হাসান রাজু।

দলীয় ৪৬ রানে সালমান হোসেনকে (১৬) ফিরিয়ে তৃতীয় আঘাতটি হানেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেটে ওপেনার রাজিন সালেহর সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১২৩ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। ১৩৫ বলে ৯৫ রান করে অফস্পিনার অমিত কুমারের বল কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন রাজিন। তার ইনিংসে পাঁচটি চারের সঙ্গে ছিল চারটি ছয়ের মার।

রাজিন ফেরার পর ভেঙে পড়ে সিসিএসের ব্যাটিং। সাইফুদ্দিন এক প্রান্ত আগলে খেললেও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। শেষ ৩৬ রানে ৭ উইকেট হারায় দলটি। সাইফুদ্দিন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন।

আবাহনীর হয়ে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান রাজু ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। অমিত কুমার নিয়েছেন একটি উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ০৬ জুন ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।