ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হলো না ইংলিশ-বধ

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৬
হলো না ইংলিশ-বধ ছবি:শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: বাংলাদেশের অসাধারণ এক জয়ের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। জয় উদযাপনের প্রস্তুতিও ছিল মাঠে আসা ২৫ হাজার দর্শকের।

কিন্ত শেষের ভুলে ভাঙলো সে স্বপ্ন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১০ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রানে বাংলাদেশ অলআউট হলো ১৩ বল থাকতেই। ২১ রানে জিতে সিরিজে লিড (১-০) ইংল্যান্ডের। ম্যাচ শেষে জয়ের উদযাপনও করলো ইংলিশ শিবির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ-২৮৮/১০ (৪৭.৫ ওভার) ইমরুল কায়েস ১১২, সাকিব আল হাসান ৭৯। জ্যাক বল ৫১/৫
ইংল্যান্ড-৩০৯/৮ (৫০ ওভার) বেন স্টোকস ১০১, জস বাটলার ৬৩। মাশরাফি বিন মর্তুজা ৫২/২
ফল: ইংল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জ্যাক বল
সিরিজ: ১-০ তে এগিয়ে ইংল্যান্ড।

হারের ম্যাচে চোখে লেগে  রইলো ইমরুল কায়েসের অসাধারণ ইনিংসটি। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলে অষ্টম ব্যাটসম্যান হসেবে যখন আউট হলেন তখনই সব আশা শেষ বাংলাদেশের।

মূলত বাংলাদেশ দলের ‘ব্যাকআপ’ ওপেনার হিসেবেই মূল্যয়িত হন ইমরুল কায়েস। কারও ইনজুরি কিংবা ফর্মহীনতায় বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে আসেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের একাদশে এলেন সৌম্য সরকারের ফর্মহীনতায়। আর তাতেই বাজিমাত। বাংলাদেশ জয় তুলতে না পারলেও ইংলিশ বোলারদের কাঁপুনি দিয়েছেন ইমরুল। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে  ইংলিশ-বধ হতে যাচ্ছিলো ইমরুলের ব্যাটের সৌজন্যেই।

ফতুল্লায় ইংলিশদের বিপক্ষে ৯১ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেই ইমরুল জানান দিয়েছিলেন একাদশে কতটা অপরিহার্য তিনি। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ছাড়িয়ে গেলেন আগের ইনিংসটাকেও।
 
৩১১ রান তাড়ায় নেমে ক্রিস ওকসকে ছক্কা মেরে (ওভারের ‍তৃতীয় বলে) শুরু। শেষ বলে চার, দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিলেন বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। ইংলিশ-বধের স্বপ্ন দেখা শুরু তখন থেকেই।
 
তামিম ইকবালের সঙ্গী হয়ে নামা ইমরুল তুলে নিলেন দ্বিতীয় ওয়ানডে শতক। তামিম (৩১ বলে ১৭) নিস্প্রভ এক ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন সাজঘরে। থামলেন না ইমরুল। দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ইমরুল। দলীয় ২৮০  রানে আদিল রশিদের করা ওয়াইড বলটি বলটি এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হওয়ার আগেও ম্যাচটি বাংলাদেশের মনে হচ্ছিলো।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৭ রান করেও পরের দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি ইমরুলের। টেস্টের এ নিয়মিত ওপেনার ওয়ানডে ফরম্যাটে স্থায়ী হওয়ার দাবি করতেই পারেন।

ইংলিশদের জয়ে কৃতিত্ব জ্যাক বল ও আদিল রশিদের। বল পাঁচটি ও রশিদ নিয়েছেন চারটি উইকেট। এ দুই বোলারই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ম্যাচে। ইংলিশদের দারুণ ফিল্ডিংও রেখেছে ম্যাচ জয়ে ভূমিকা।  

বাংলাদেশের সামনে বড় সংগ্রহ দাড় করিয়ে আসল কাজটি আগেই সেরে রাখেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১৬
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।