ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন ইমরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন ইমরুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সবশেষ নিউজিল্যান্ডে খেলেছে ২০১৫ বিশ্বকাপে। সেই আসরে টাইগার দলে ছিলেন টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও। কিন্তু খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। গ্রুপপর্বে সাত ম্যাচের মোট দুটিতে খেলেছেন তিনি।

মিরপুর থেকে: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সবশেষ নিউজিল্যান্ডে খেলেছে ২০১৫ বিশ্বকাপে। সেই আসরে টাইগার দলে ছিলেন টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও।

কিন্তু খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। গ্রুপপর্বে সাত ম্যাচের মোট দুটিতে খেলেছেন তিনি।

আর এই দুই ম্যাচে ইমরুলের রানও আহামরি কিছু নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ২ রান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সংগ্রহ ছিল ওই একই (২ রান)। এরপর জ্বলে উঠতে পারেননি কোয়ার্টার ফাইনালেও। ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে প্যাভিলনে ফিরেছিলেন রান আউট হয়ে, ব্যক্তিগত মাত্র ৫ রানে।

টপঅর্ডারের একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে একটি সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে রান করাটা অবশ্যই জরুরি। কেননা দলের ভিত কিন্তু তাদের হাত দিয়েই গড়ে উঠে। সেটা হোক দেশের মাটিতে কিংবা বিদেশে। তবে দেশের গন্ডি ছেড়ে বিদেশের মাটিতে রান করাটা সব সময়ই একটি দল বা ব্যক্তির জন্য বাড়তি প্রেরণার। যা গেল বিশ্বকাপে ইমরুলের হয়নি।

দেশের বাইরে খেলতে গেলে দলের সঙ্গে দীর্ঘ একটি সময় থাকা, মাঠে নামা, উইকেট বোঝা, কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। মূলত এই অভিজ্ঞতা গুলোকেই স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পূর্ণাঙ্গ সিরিজে কাজে লাগাতে চান ইমরুল।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে নিউজিল্যান্ড সফরে নিজের করণীয় গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন এই টাইগার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান।

তিনি জানান, ‘নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছি অনেক দিন পর। আমরা ঘরের মাঠে অনেক গুলো সিরিজ খেলেছি। বাইরের সফরে শুরুতেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর একটি বিষয় থাকে। আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ডে সিমিং কন্ডিশনে খেলা হয়। বিশ্বের অনেক বড় বড় তারকা দলও সেখানে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়। আমি মুখে যতোই বলি ভালো ক্রিকেট খেলবো, এটা বলে লাভ নেই। ওখানে গিয়ে ভালো না করতে পারলে বলে লাভ কি? কিন্তু চেষ্টা থাকবে ওখানে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভালো খেলার। আশা করছি সমস্যা হবে না। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে। ’
 
এসময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজকে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ইমরুল আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছি আমাদের জন্য এই সফরটা বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। নিজেকে প্রমাণ করার অনেক কিছু আছে। আমি মনে করি আমাদের সকলেরই আলাদা আলাদা পরিকল্পনা আছে। ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে যাচ্ছে সকলেই। আমরা যদি সকলে নিজেদের পরিকল্পনায় সফল হতে পারি তাহলে দলীয় ভাবে ভালো কিছু হবে। ’

ইমরুল আরও জানান, ‘প্রতিটি সিরিজেই একজন ক্রিকেটার নিজের মতো করে লক্ষ্য স্থির করে নেন। কেউ সফল হন, আবার কেউ হন না। সবাই চেষ্টা করে ভালো করার। আমার চেষ্টা থাকবে দলের জন্য ভালো কিছু করার। দলের জন্য খেলতে পারলে নিজের জন্যেও খেলা হয়ে যাবে। ’

২৬ ডিসেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে প্রথম বহরে আজ রাতেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস যোগে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল। এই বহরে আছেন ইমরুলও।

আর বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচের জন্য যারা এই বহরে যাচ্ছেন না তারা ঢাকা ছাড়বেন শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।