ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাশরাফিদের প্রথম যুদ্ধটা কন্ডিশনের সঙ্গে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
মাশরাফিদের প্রথম যুদ্ধটা কন্ডিশনের সঙ্গে! ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে প্রথম বহরে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় বহরে শনিবার (১০) ডিসেম্বর মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ঢাকা ছাড়বে দলের বাকি সদস্যরা।

মিরপুর থেকে: তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে প্রথম বহরে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় বহরে শনিবার (১০) ডিসেম্বর মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ঢাকা ছাড়বে দলের বাকি সদস্যরা।

তারাও প্রথমেই অস্ট্রেলিয়াতেই যাবেন। কেননা, নিউজিল্যান্ডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করবে লাল-সবুজের দল। তাছাড়া সেখানে বিগ ব্যাশের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিডনি থান্ডার্স ও সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের।
 
অস্ট্রেলিয়ায় অনুশীলন ক্যাম্প শেষে নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। এরপর ২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে মাশরাফিরা। কিন্তু এই সিরিজের আগে একটি বিষয়ই ঘুরে ফিরে আসছে মাশরাফির ভাবনায়। আর সেটা হলো, ওখানকার কন্ডিশন। সফরের আগে এই বিষয়কেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন টাইগার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
 
‘আমরা গত বছর সবই হোম ম্যাচ খেলেছি এবং বেশির ভাগ ম্যাচই আমরা জিতেছি। এখন চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম। সেটা হলো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে খেলা। আপনারা সবাই জানেন যে, এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। শুধু আমরাই নই, একটি প্রতিষ্ঠিত দলের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের জন্য আশা করি আরও বেশি। নিউজিল্যান্ডে আবাহাওয়াটা অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভিন্ন রকম। ’
 
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ড সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সফরে স্বাগতিক দেশের কন্ডিশন নিয়ে এভাবেই নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন মাশরাফি।
 
মাশরাফি ঠিকই বলেছেন। কেননা নিউজিল্যান্ডের উইকেটে যে কোন দলকেই হিমশিম খেতে হয়। কেননা ওখানকার কোনো কোনো মাঠের উইকেটগুলো যেমন বাউন্সি হয় তেমনি কোনো মাঠের উইকেটে থাকে অস্বাভাবিক সুইং। সঙ্গত কারণেই সফরকারী দলগুলোকে উইকেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। আর আবাহাওয়ার ব্যাপারটিতো আছেই। নিউজিল্যান্ডে এখন শীতকাল। সব মিলিয়ে মাশরাফির কন্ডিশন ভাবনা নিশ্চয়ই অমূলক নয়।
 
তারপরেও ছেড়ে দেয়ার পাত্র মাশরাফি নন। এমন বিরূপ কন্ডিশনেও চাইছেন দেশকে ভালো কিছু উপহার  দিতে। আর সেই কাজটি তিনি এবং তার সতীর্থরা করবেন গেল দেড় বছরে পাওয়া যাবতীয় জয়ের সব স্মৃতিকে রোমন্থন করে, ‘মোমেন্টামটি যদি আমরা নিতে পারি তাহলেই হবে। মোমেন্টাম বলতে গত এক দেড় বছর ভালো খেলার স্মৃতিগুলো ওইখানে নিয়ে গিয়ে যদি আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারি আশা করি ভালো হবে। আর অস্ট্রেলিয়া গিয়ে যদি ভালো অনুশীলন করতে পারি তাহলে ওইটাও আমরা নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যেতে পারবো। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।