ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১৩ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট।
ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করে দলে ডাক পেলে সাধ্যের সেরা টুকু দিবেন বলেও জানালেন তিনি। তবে তার আগে শতভাগ ফিট হতেই নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ২৬ নভেম্বর বিপিএলের প্রথম প্লে অফ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ-পায়ে ছোট পেয়ে সফর থেকে ছিটকে যান শফিউল। তার পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
চোট পাওয়ার পর কিছু দিন বিশ্রামে ছিলেন শফিউল। তিন-চার দিন হলো শুরু হয়েছে রিহ্যাব। যা দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু করবেন বোলিং। তবে কবে নাগাদ শতভাগ জোরে দিয়ে বল করতে পারবেন সেটি তিনি এখনও বলতে পারছেন না।
শফিউল বলেন, ‘বোলিং যখন শুরু করবো এবং আস্তে আস্তে করতে থাকবো তখন বোঝা যাবে কবে নাগাদ শতভাগ জোর দিতে পারবো। বায়েজিদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন যেভাবে উন্নতি হচ্ছে এটা চালিয়ে যেতে পারলে খুব দ্রুতই সম্ভব। আমি বলতে পারছি না। আমার এখন ব্যথা নেই আমি আপাতত এটাই বলতে পারবো। তারা বলতে পারবে আমি কবে খেলতে পারবো। ’
‘আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে যদি ডাকে আমি চেষ্টা করবো। তার আগে তো আমাকে ফিট হতে হবে। ফিট হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ফিট হওয়ার পর দেখা যাবে। ’-যোগ করেন শফিউল।
পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠলে শফিউলের ডাক পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কিছুই দেখছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ‘পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠলে অবশ্যই সে দলে ডাক পাবে। ২৬ তারিখ থেকে ও বোলিং শুরু করবে, ২ জানুয়ারি ওর ফিটনেস টেস্ট। সেখানে উত্তীর্ণ হলেই আমরা ওকে দলে ডাকবো। ’
এদিকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মাশরাফিদের ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচের এই সিরেজের বাদবাকি দুটি হবে ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর, যা অবধারিতভাবেই খেলতে পারছেন না শফিউল। সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৩, ৬ ও ৮ জানুয়ারি। তাই ২ জানুয়ারি পরীক্ষায় উতরে গেলেও খেলা হচ্ছে না টি-২০ সিরিজটিও। তবে টেস্ট সিরিজে তাকে বল হাতে দেখা যাবে বলে জানালেন নান্নু।
শফিউলকে নিয়ে নির্বাচকরা যে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বা তার উপর আস্থা রাখছেন সেই কাজটি কিন্ত শফিউল নিজেই করেছেন। একেতো দলের অভিজ্ঞ প্লেয়ার তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সম্পর্কেও তিনি জানেন। তবে এই দুই বিষয়কে ছাপিয়ে নির্বাচকদের আস্থা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে তার বিপিএলের এবারের আসরের দুর্দান্ত বোলিং।
এমন পারফরম্যান্সের পরেও অভিশপ্ত ইনজুরির জন্য ছিটকে গেছেন সিরিজ থেকে। ফলে এই বিষয়টিকে হতাশার নামান্তর বলতে এতটুকু দ্বিধা করলেন না। ‘অবশ্যই হতাশার। শেষ মুহূর্তে এসে এভাবে ছিটকে যাওয়াটা খারাপ লাগার মতোই ব্যাপার। এমন অবস্থায় সবারই খারাপ লাগে। খুবই মিস করছি। সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছিলো আমার। একটা সুন্দর ছন্দে ছিলাম। ’
তবে হাল ছাড়ার পাত্র একেবারেই নন শফিউল। ইনজুরিকে ভাগ্যের লিখন মনে করে ভুলে যেতে চাইছেন এই হতাশার অতীত। পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাকাতে চাইছেন সামনের দিকে। দলে ফিরে আসতে চাইছেন সেরা ছন্দ নিয়েই ‘সামনের দিকে তাকাতে চাই। যখন ফিরি এই এভাবেই যেন ফিরতে পারি। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেন আসতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস