১৩৬তম ওভারের শেষ বলে মেহেদি হাসান মিরাজের (১৩ বলে ০) বিদায়ে দিনের খেলা শেষ হয়। ১০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাব্বির রহমান।
সাদা পোশাকে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক এখন সাকিব। দলীয় ৫৩৬ রানের মাথায় নেইল ওয়াগনারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭৬ বলে ২১৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস উপহার দেন বাংলাদেশের ‘ক্রিকেট বিজ্ঞাপন’। তাতে ছিল ৩১টি চারের মার।
এদিন বিশ্বের ১৪তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৩ হাজার রান ও দেড়শ’ রানের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখান সাকিব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইনজুরি থেকে ফেরা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৫৯ রানের (২৬০ বল) ঝলমলে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’।
দুই বছরেরও অধিক সময় পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পান দু’জন। ৩৫৯-এ থামে তাদের অনবদ্য জুটি। যা বেশ কয়েকটি রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন সাকিব-মুশফিক। ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের কীর্তিকে (৩১২, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালের এপ্রিলে)।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও জাভেদ মিয়াদাদের করা ৪১ বছরের পুরনো রেকর্ডও (২৮১) ভেঙে দিয়েছেন সাকিব-মুশফিক।
কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। আগের রেকর্ডটি ছিল জুনাইদ সিদ্দিক ও তামিম ইকবালের (১৬১)।
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনেই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পেসবান্ধব ঘাসের উইকেটে ভয় জয় করে বাংলাদেশ! বেসিন রিজার্ভে আগের দিন মাত্র ৪০.২ ওভারের খেলা হয়। তামিম-মুমিনুলের জোড়া ফিফটিতে তিন উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা।
৬৪ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির লক্ষ্যটা পূরণ হয়নি। কোনো রান যোগ না করেই দলীয় ১৬০ রানের মাথায় টিম সাউদির বলে বিজে ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে আটকা পড়েন ‘পকেট ডায়নামো’ খ্যাত মুমিনুল।
মুমিনুলের বিদায়ে উইকেটে এসে সাবলীল ব্যাটিংয়ে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়েন মুশফিক। দু’জনের ব্যাটেই চালকের আসনে টিম বাংলাদেশ।
তিন কিউই পেসার নেইল ওয়াগনার তিনটি, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট দু’টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম