ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরপুরে অনিলের অনন্য কীর্তি

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
মিরপুরে অনিলের অনন্য কীর্তি উঠতি পেসার অনিল বাবু/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ৮ উইকেট তুলে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাবের বাঁহাতি পেসার অনিল বাবু। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনিলের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমি।

২৭.৪ ওভারে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ১৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওল্ড ডিওএইচএস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ট্যালেন্ট হান্টের প্রথম সারির ৮ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান  অনিল। শেষের দুটি উইকেট নেন আনিসুল ইসলাম।

৮ উইকেট নিতে ১০ ওভারে ৩০ রান দেন অনিল। ৭ বছর আগে আলাউদ্দিন বাবু নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। আলাউদ্দিন বাবুর চেয়ে কম রান দেওয়ায় অনিলের ‘১০-১-৩০-৮’ ফিগারটাই প্রথম বিভাগের সেরা।

হোম অব ক্রিকেটে এমন কীর্তি গড়তে পেরে দারুণ খুশি জামালপুরের ছেলে অনিল। বাংলানিউজকে ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ বলেন, ‘আমার জন্য এটা অনেক বড় কিছু। অনেক ভালো লাগছে। ভালো বোলিংয়ের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। শেষের দুই বছর কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা জামালপুরের মানুষ খুব ভালোভাবে জানেন। ’

২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যাম্পে ডাক পান অনিল।  মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দারুণভাবেই ছিলেন এ পেসার। কিন্তু গ্রোয়েনের ইনজুরি তাকে বারবারই কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়।

সব কিছু বাদ দিয়ে ফিটনেস ঠিক করতে কাটিয়ে দেন ৩ বছর, ‘ম্যাচ খেলতে গেলেই ইনজুরিতে পড়তাম। অনেকটা পিছিয়ে পড়ছিলাম। গ্রোয়েনে শুধু লাগতো।  বিসিবির ফিজিও বলেছিল, মাংশপেশী দুর্বল। এজন্য প্রথম আমি আমার ফিটনেস ঠিক করেছি। মাংশপেশী মজবুত করেছি। ’

চলমান প্রথম বিভাগ লিগে ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন অনিল। দলের কোচ ইমন দাশ এ বোলারের মাঝে দেখছেন দারুণ সম্ভাবনা, ‘অনিল অনেক অ্যাকটিভ একটা ছেলে। ওর মধ্যে শেখার জন্য একটা স্পিড কাজ করে। যা অনেকের মধ্যেই নেই। আর এক-দুই বছর খেললে সামনে খুব ভালো করবে। বোলিং দুর্দান্ত করেছে আজ। ‘থ্রেট বোলিং’ যাকে বলে। কেউ ওকে সেধে উইকেট দেয়নি, আদায় করে নিয়েছে। মাঝখানে ও তো হারিয়েই গিয়েছিল। আমাদের এক বড় ভাই ময়মংসিহে ওর বোলিং দেখে নিয়ে এসেছে। আমরা ওকে নার্সিং করছি। বেশ উন্নতি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।