৪৫৯ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫০ করতে সমর্থ হয় মুশফিক বাহিনী। স্বাগতিকরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে।
প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেটে ৬৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে টাইগাররা নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রান করে। ২৯৯ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা।
যথারীতি দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ব্যর্থ। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও ম্যাচ বাঁচানোর জন্য উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ম্যাচ শেষে মুশফিক জানান, ‘প্রথম ইনিংসে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে আমরা ভারতকে অনেকগুলো সুযোগ দিয়েছি। আমরা যদি তাদের ৫৫০ অথবা ৬০০ এর মধ্যে বেঁধে রাখতে পারতাম তাহলে আমাদেরও একটা সুযোগ তৈরি হতে পারত। আর দ্বিতীয় ইনিংসটা ব্যাটসম্যানদের জন্য সবসময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের অনেক অপশন ছিল। ওদের শুধু স্পিনাররা না, তাদের পেসাররাও দারুণ করেছে। ’
বাংলাদেশ শেষ দিনে আরও ২৫-২৬ ওভার টিকে থাকতে পারলেই ম্যাচ বাঁচানো যেত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ হাফসেঞ্চুরি আসে মাহমুদউল্লাহ’র ব্যাট থেকে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা কামরুল ইসলাম রাব্বি ৭০ বলে ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি