মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হায়দ্রাবাদ থেকে সকাল ৬টায় কলকাতার উদ্দেশে রওয়ানা দেয় টিম বাংলাদেশ। পরপর দুটি সফরের ধকল সামলে উঠতে ক্রিকেটাররা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ড ও ভারতের পর শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে অনুশীলন শুরু হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। দু’টি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টি-২০ খেলতে ২৭ বা ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা মাশরাফি-মুশফিকদের।
হায়দ্রাবাদ টেস্টের (৯-১৩ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চম ও শেষ দিনে দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৫৯ রানের লক্ষ্যে আড়াইশ’ রানে থামে সফরকারীরা। ২৫ ওভারের মতো খেলা বাকি ছিল। মুশফিক-সাকিব-সাব্বির-মাহমুদউল্লাহরা নিজেদের ইনিংসটা আরেকটু বড় করতে পারলেই হয়তো কাঙ্ক্ষিত ড্রয়ে ম্যাচ বাঁচানো যেত!
হেরে গেলেও টাইগারদের প্রাপ্তি কম নয়। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দুই ইনিংসেই একশ’ ওভারের বেশি ব্যাটিং করেছে। ২০০০ সালের পর ভারতে এসে চতুর্থ ইনিংসে সফরকারী দলের সর্বোচ্চ স্কোরের পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ডের পরেই বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত আহমেদাবাদ টেস্ট ড্র হওয়ার আগে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ১০৭ ওভারে ছয় উইকেটে ২৭২।
প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৬৮৭ রানের বিশাল স্কোরই মূলত পার্থক্য গড়ে দেয়। ম্যাচ বাঁচাতে অধিনায়ক মুশফিকের ১২৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসটি ছিল চোখে পড়ার মতোই। শেষ রক্ষাটা আর হলো না! ইশান্ত-অশ্বিন-জাদেজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০৮ রানের জয় পায় টেস্টের নাম্বার ওয়ান টিম ইন্ডিয়া।
গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ‘ঐতিহাসিক’ টেস্টের আগে স্বাগতিক ‘এ’ দলের বিপক্ষে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্রতে নিষ্পত্তি হয়। এবার মুশফিকদের লঙ্কান চ্যালেঞ্জ!
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম