এনসিএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নাসির জামশেদ এর বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিনি এমন সন্দেহে পুলিশের হেফাজতেও গিয়েছিলেন। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে পিএসএল চেয়ারম্যান নাজাম শেঠিও জামশেদের গ্রেফতারের ব্যাপারটির সত্যতা স্বীকার করেছেন। জিও টিভির এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘নাসির জামশেদকে আটক করার কথা আমি শুনেছি। তার সঙ্গে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ব্রিটেনের মাটিতে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল, সে জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। ’ পিসিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এই ‘অপরাধ’ ক্রিকেট-দুর্নীতি সংক্রান্তই।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি টেস্ট, ৪৮টি ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জামশেদ। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলে ছিলেন। তবে এরপর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েন।
বরাবরই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কলঙ্কিত হচ্ছে ক্রিকেট। জামশেদ ছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগে শারজিল খান, খালিদ লতিফের পর মোহাম্মদ ইরফানকে নিয়ে বিপাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
খালিদ লতিফ ও শারজিল খানকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দুর্নীতির অভিযোগে তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। একই অভিযোগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানকে।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ম্যাচে স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে নিষিদ্ধ করা হতে পারে জাতীয় দলের পেসার ইরফানকে। স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে আরও ক্রিকেটার জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে।
তবে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছিলেন না উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জামশেদ। গতবারের মতো এবারও পিএসএলে কোনো দল পাননি তিনি। দুর্নীতি বিরোধী কোড ভাঙায় জামশেদকে নিষিদ্ধ করার খবর জানায় পিসিবি।
দুবাইয়ে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইরফান, শারজিল আর লতিফ খেলছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে। নিষেধাজ্ঞার পর তাদের দুবাই থেকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়। বিস্তারিত তদন্তের জন্য তাদের পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে। তবে, এখনও ইরফানকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস