এর আগে মিসবাহর অধিনায়কত্ব ছাড়ার খবর উঠেছিল। তখন দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার ইউনিস খান অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেলে নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী বলে জানান।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পাকিস্তানের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর রয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ।
ভবিষ্যত সম্পর্কে এখনই খোলামেলা কিছু না বললেও দলের আগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলবেন বলে নিশ্চিত করেন মিসবাহ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজে আমি সফর করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সেখানে শুধুমাত্র খেলোয়াড় না, অধিনায়ক হয়েই থাকতে চাচ্ছি। সেটি এখন বোর্ড বিবেচনা করবে। বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আমার আলোচনা হয়েছে। ’
বর্তমানে টেস্ট ছাড়া জাতীয় দলের আর কোনো ফরম্যাটে খেলছেন না মিসবাহ। টেস্টে মিসবাহর ডেপুটি হচ্ছেন সরফরাজ খান।
এদিকে বোর্ড সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের মতে অবসর না নিলে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মিসবাহই দলের নেতৃত্বে থাকবেন। বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে অধিনায়কত্ব পালন করার দৃঢ় ইচ্ছা জানিয়েছেন মিসবাহ। আগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের জন্য তার এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বোর্ড প্রধান।
মিসবাহ ২০১০ সাল থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাকিস্তানের সফল অধিনায়কদের একজন তিনি। তার অধীনে দলটি টেস্টে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছিল। তাই বোর্ড তার নেতৃত্ব এখনই কেড়ে নিতে চায় না।
গত অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই মিসবাহর সমালোচনা শুরু হয়। যেখানে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। পাশাপাশি ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলীকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি দলনেতা সরফরাজ আহমেদকে ওয়ানডের অধিনায়ক করা হয়। পরে বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন আসা শুরু করে পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই এক অধিনায়ক করা হচ্ছে। ফলে সাদা পোশাকেও সরফরাজের নেতৃত্বের জোর দাবি উঠেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ৬ মার্চ ২০১৭
এমআরপি