কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে। এক ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পাননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় কলকাতা ও হায়দ্রাবাদ। সাকিব-মোস্তাফিজ লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু, সমর্থকদের বঞ্চিত করেছে আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। দু’জনকে ছাড়াই মাঠে তারা।
হায়দ্রাবাদের প্রথম দুই ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজ। স্মরণীয় শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দেশে ফিরে কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে আইপিএলে খেলতে যান ‘কাটার মাস্টার’। গিয়েই একাদশে জায়গা করে নেন এ উদীয়মান পেসার। শুরুটা অবশ্য নিজের মতো হয়নি মোস্তাফিজের। গত বুধবারের ম্যাচটিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২.৪ ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে উইকেটশূন্য থাকেন।
তাতেই যেন মোস্তাফিজের ওপর আস্থা হারায় হায়দ্রাবাদ! গত মৌসুম জুড়ে যিনি বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাকেই কিনা এক ম্যাচের পারফরম্যান্সে মূল্যায়ন করা হলো! বসিয়ে রাখা হলো পরের ম্যাচেই!
আইপিএল টিমে সাকিব-মোস্তাফিজের অবস্থান নিয়ে মাশরাফির অভিমত, ‘আমার প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে তারা (সাকিব ও মোস্তাফিজ) কিভাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেবে। আইপিএলে খেলছে কী খেলছে না তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। এটা ফ্যাঞ্চাইজির ওপর নির্ভর করে তারা কাকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেবে। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। ’
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নাইট রাইডার্স অথবা সানরাইজার্স সাকিব ও মোস্তাফিজকে খেলাচ্ছে না তার মানে এই না যে তারা খারাপ ক্রিকেটার। কলকাতার হয়ে খেলা শুরুর আগে থেকেই সাকিব হচ্ছে মি. বাংলাদেশ। আর মোস্তাফিজ কী করতে পারে তা সবাই জানেন। ’-যোগ করেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম