ঘটনাটি সেই ৪ বলে ৯২ রানের ম্যাচকে ঘিরে। গত ১১ এপ্রিল মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় বিভাগের খেলায় এক্সিওম ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে সুজনের দেওয়া ৪ বলে ৯২ রান বিশ্ব ক্রিকেটেই সাড়া ফেলে দেয়।
সেটিরই প্রতিবাদে পরে বল হাতে ওই কাণ্ড ঘটান সুজন। ১৩টি ওয়াইড থেকে ৬৫ আর ৩টি নো-বল থেকে রান দেন ১৫। মাত্র চারটি বৈধ বলেই ৯২ রান উঠলে ম্যাচ জিতে যায় এক্সিওম!
এ নিয়ে দেশে–বিদেশে সমালোচিত হওয়ার পর ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত পরশু কমিটির দুই সদস্য জালাল ইউনুস ও আকরাম খান শুনানিও করেছেন।
বোলার সুজন ছাড়াও শুনানিতে ডাকা হয় লালমাটিয়া ক্লাবের অধিনায়ক ফয়সাল আহমেদ ও কর্মকর্তা আদনান রহমানকে। আসেন ম্যাচের দুই আম্পায়ার শামসুর রহমান ও আজিজুল বারী এবং স্কোরাররা। তবে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং নিয়ে লালমাটিয়া ক্লাব লিখিত অভিযোগ না করায় তদন্তের আওতায় আসছে না আম্পায়ারিং। শুনানিতে আম্পায়াররা শুধু ‘সাক্ষী’র ভূমিকাই পালন করেছেন।
কমিটি গুরুত্ব দিচ্ছে ৪ বলে ৯২ রান দেওয়ার ওই ঘটনাকে এবং সেটি যিনি ঘটিয়েছেন তার ওপর। কারও বুদ্ধি বা নির্দেশনায় সুজন ওই কাজ করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্য দুটি বিমারসহ এতগুলো ওয়াইড করার পরও আম্পায়াররা কেন তাকে বোলিং চালিয়ে যেতে দিলেন, সে ব্যাপারেও কমিটির কিছুটা কৌতূহল আছে। সব মিলিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জমা পড়বে তদন্ত প্রতিবেদন।
সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির কাছে সুজন ছাড়া আর কেউই ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি। সন্দেহের পক্ষে অকাট্য প্রমাণ নেই কমিটির কাছে। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত সুজন একাই ফেঁসে যেতে পারেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তরুণ এই পেসারের বিপক্ষে ক্রিকেট বিশ্বের সামনে দেশের ক্রিকেটকে হেয়প্রতিপন্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭
এমএমএস