আগামী ১২-২৪ মে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১-১৮ জুন ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেবে টাইগাররা।
দুই ইভেন্ট নিয়ে দুই রকম অনুভূতি হচ্ছে মুশফিকের। ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে তিনি জানান, ‘আয়ারল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের ত্রিদেশীয় সিরিজটি মোটেই সহজ হবে না। কারণ, সেখানকার কন্ডিশন পুরোটাই ভিন্ন। উইকেটও আমাদের অনুকূলে থাকবে না। তাদের উইকেটগুলো সাধারণত সবুজাভ হয়ে থাকে। তবে, আমার মনে হয় ওখানে খেলার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছি আমরা। ’
ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘আমরা প্রথমত এই সিরিজটি নিয়েই থাকতে চাই। প্রতিটি দিন সেখানে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। আর সবাই যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, তাহলে কঠিন এই সিরিজের ফলাফল আমাদের দিকেই আসবে। ’
এদিকে, বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ আটটি দল এবার অংশ নেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। প্রথমবারের মতো এই মেগা ইভেন্টে খেলবেন মুশফিক। স্বাভাবিকভাবেই তিনি মুখিয়ে আছেন এই ইভেন্টে মাঠে নামতে। ক্রিকেটের বড় এই মঞ্চে নিজেদের প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দেখছেন মুশফিক।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রসঙ্গে মুশফিক জানান, ‘স্বাভাবিকভাবেই এটা আমার কাছে ভিন্ন অনুভূতি। বিশ্বকাপের পরেই এই ইভেন্টের স্থান। এখানে আপনি বার বারই অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। জায়গা করে নিয়েই এখানে সুযোগ পেতে হয়। এটা আমার জন্য বড় একটি সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ নিজেকে প্রমাণ করার। আমি সেদিকেই দৃষ্টি রেখেছি। ’
টাইগারদের রান মেশিন খ্যাত মুশফিক আরও জানান, ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবার ২০০৬ সালে খেলেছে। আমি সে আসরে ছিলাম না। আমি সেবার সব ম্যাচই দেখেছি, ভেবেছি একদিন আমিও খেলবো। দেখুন এটাই বাস্তবতা, আমি খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আশা করি এই সুযোগ কাজে লাগাবো। ক্রিকেটার হিসেবে, জাতীয় দলের একজন সদস্য হিসেবে এই টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি