তবে নিষিদ্ধ এই দুই বোলারকে আশার কথা শোনালেন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। সুজন ও তাসনিম ভুল স্বীকার করে আবেদন করলে তাদের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া কিংবা শাস্তি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানালেন তিনি।
বুধবার (৩ মে) বিকেলে গুলশানের নিজ বাসভবনে শেখ সোহেল একথা বলেন।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা তার কাছে জানতে চান আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের শাস্তিও দশ বছর পায়নি। সেখানে ওমন বোলিং করে কেন এমন গুরু দণ্ড? উত্তরে তদন্ত কমিটির প্রধান বললেন, ‘আপনাদের কাছে জানতে চাই, তারা যে প্রতিবাদটি করলো সেটা কি ধরণের প্রতিবাদ? আপনি এমন প্রতিবাদই করলেন যে বিশ্ব অঙ্গনে আমাদের ক্রিকেট কলুষিত হল! তাদের অবশ্যই প্রতিবাদ করার অধিকার ছিল। বিসিবি ছিল, আম্পারস কমিটি ছিল, সভাপতি ছিল। এই দুই বোলার এবং ক্লাব তাদের কাছে অভিযোগ করতে পারতো। তারা কখনও তা জানায়নি। আশরাফুলের বিষয়টি ওই সময় যারা ছিল সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে যেন এধরনের অন্যায় আর না হয় সেজন্যই এই শাস্তি। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দুই ক্লাবের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুজন ও তাসনিম অভিনব পদ্ধতিতে এই প্রতিবাদের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও বিশ্বাস সোহেলের। ‘আপনারা জানেন কোন ম্যাচে একজন ফিল্ডার যখন মিস ফিল্ডিং করে বা গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছেড়ে দেয় তখন সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে মাঠের ভেতরে কিংবা ম্যাচ শেষে চার্জ করে। ক্লাব যদি অনুমতি না দেয় এত বড় অন্যায় কোন প্লেয়ার করতে পারে না। যে বোলারটা (সুজন) ওই ম্যাচে ৯২ রান দিল ও কয়দিন ওই ক্লাবে খেলে? সে সবশেষ বল করেছে দেড় থেকে দুই বছের আগে। বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ৩ মে ২০১৭
এইচএল/এমএমএস