ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত শের-ই-বাংলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
বিপিএলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত শের-ই-বাংলা ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সংস্কার কাজ শেষ। মাঠে ফিরেছে সবুজের সেই সমোরোহ। ঘন ঘাসে ছেয়ে গেছে শের-ই-বাংলা’র প্রান্তর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) স্বাগত জানাতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত মিরপুর শের-ই-বাংলার মাঠ।

অথচ গেল আগস্টে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো না। এ বছরের এপ্রিলে সংস্কারের শুরুতে আউটফিল্ডের ৬ ইঞ্চি পরিমান মাটি তুলে প্রথমে তার উপরে ফেলা হয় বালু।

এরপর মে মাসে সেই বালুর উপর লাগানো হয় নতুন ঘাস।

কিন্তু নতুন সেই ঘাস বেড়ে উঠতে না উঠতেই মরে যায়। তুলনামূলক বড় ঘাসের জন্য দূর থেকে একটু সবুজ মনে হলেও কাছে গেলে শুধুই ধুসর মনে হতো! ঘাসের ফাঁকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতো বালুমিশ্রিত মাটি। যেখানে ডাইভ দিতে গেলে ছিলো প্লেয়ারদের ছোট খাট ইনজুরির শঙ্কা।

এমন দৈন্য দশা দেখে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডকে ‘বাজে’ মূল্যায়র করে আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো’র দেয়া প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠিও দিয়েছিল আইসিসি। আইসিসি’র পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ধারা-৩ মোতাবেক প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন ক্রো।

কিন্তু ক্রো’র দেখা সেই শের-ই-বাংলা আর নেই বলে দাবি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিস বিভাগের ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেনের, ‘ঢাকায় প্রচুর সংস্কার হয়েছে। ৬ ইঞ্চি মাটি তোলা হয়েছিল। বুয়েট, অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞরা ছিল। এখন মিরপুরের মাঠ শতভাগ প্রস্তুত বিপিএলকে স্বাগত জানাতে। ’

চার-ছ্ক্কার ধুম ধারাক্বার বিপিএলে ঢাকার প্রতিটি ম্যাচেই রান বন্যার বিষয়টি মাথায় রেখে সিলেটের অনুরুপ ঢাকায়ও ব্যাটিং তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন এই অভিজ্ঞ গ্রাউন্ডস ম্যানেজার, ‘সিলেটে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস রান হয়েছে। সবাই খুশি এটা দেখে। বিপিএলে স্পোর্টিং উইকেটের জন্য আমাদের কাছে বোর্ড সভাপতির দিক নিদের্শনা আছে। কারণ এটা আনন্দদায়ী খেলা, যাতে প্রচুর রান হয়। দর্শকরা যাতে খুশি হয়। ব্যাটসম্যানরা যাতে রান পায়, বোলাররা উপকৃত হয়। সবকিছু মিলে আমরা কিন্তু সিলেটে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, মিরপুরেও প্রচুর রান হবে সিলেটের মতো। ’

সিলেট ও ঢাকার মতো ব্যাটিং উইকেটের এমন ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামেও দেখা যাবে বলে জানালেন বাতেন, ‘একই প্রস্তুতি চট্টগ্রামেও চলছে। চট্টগ্রামে যখন বিপিএল যাবে, সেজন্য প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিকে বলে চার-ছয়ের খেলা। দর্শকরাও দেখে আনন্দিত হয়। সে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু কাজ করা হচ্ছে। ’

তবে তাই হোক। বিগত আসরগুলোর বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠে রান আনন্দে ভেসে উঠুক বিপিএল। অবিরাম মাঠে বিরাজ করুক চার ছক্কার উন্মাদনা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ৮ নভেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।