ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শের-ই-বাংলার সবুজাভ ফিরতে আরও ৪ মাস!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
শের-ই-বাংলার সবুজাভ ফিরতে আরও ৪ মাস! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সবুজের সঙ্গে যেন আড়ি পেতেছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ঘাস। মাঠের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে মাস তিনেকের বেশিও। কিন্ত সবুজ যেন আর ফিরতেই চাইছে না। প্রতিদিন নিয়ম করে দুই-তিন বেলা পানি দেয়া হলেও ধূসর বর্ণের সাথেই হোম অব ক্রিকেটের ঘাসের যত সখ্যতা।

দূর থেকে মনে হবে মাঠে সবুজের সমোরোহ বিরাজ করছে। কিন্তু যতই কাছে যাবেন ততই ধূসর স্পষ্ট হবে।

এমন ধুসর বর্ণ কাটিয়ে স্বরূপে ফিরতে আরও তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।

কেন ধূসর দেখাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক গ্রাউন্ডস কর্মী বললেন, ‘ঘাসের উপরিভাগ কেটে ফেলায় বাকল বেরিয়ে এসেছে। সেজন্য ঘাস ধূসর দেখাচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই সবুজ হয়ে যাবে। ’

তার কথায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটির সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেনের সাথে যোগাযোগ করা হলো। ব্যতিক্রম কোনো তথ্য দিতে পারলেন না তিনি। নির্দিষ্ট করে বলতেও পারলেন না কবে নাগাদ মাঠের সবুজ ফিরবে। তবে তার কথায় অভয় মিললো, ‘সবুজের প্রক্রিয়ায় আমরা আছি। ঠিক হয়ে যাবে। ’

তবে বাতেন নির্দিষ্ট করে সবুজ ফেরার কোনো তথ্য দিতে না পারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন অনেকটাই পারলেন, ‘ঘাসের ব্যাপারটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। পাশাপাশি মাঠের বিশ্রামেরও দরকার আছে। যেহেতু খেলা চলছে তাই মাঠ সেই বিশ্রাম পাচ্ছে না। তবে আমরা আশা করছি মাঠ বিশ্রাম পেলে এবং প্রকৃতি আমাদের সহায়ক হলে আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই একটি সবুজ মাঠ আমরা দেখতে পাব। ’ 

এ বছরের এপ্রিলে শুরু হয়ে শের-ই-বাংলার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে আগস্টে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই। কিন্তু সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠের আউটফিল্ড পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। কেননা সংস্কারের সময় ৬ ইঞ্চি পরিমান মাটি তুলে তার ওপর বালু ফেলে মে মাসে লাগানো নতুন বার্মুডা ঘাস বেড়ে উঠতে না উঠতেই মরে যায়।

তুলনামূলক বড় ঘাসের জন্য দূর থেকে একটু সবুজ মনে হলেও কাছে গেলে শুধুই ধূসর মনে হতো! ঘাসের ফাঁকে বালুমিশ্রিত মাটি দেখা যেত বেশ স্পষ্টই। যেখানে ডাইভ দিতে গেলে প্লেয়ারদের ছোট খাট ইনজুরির শঙ্কা ছিল। মাঠের এমন করুণ দশা দেখে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে এই স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডকে ‘বাজে’ মূল্যায়ন করে। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো’র দেয়া প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠিও দিয়েছিল আইসিসি। আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিংয়ের ধারা-৩ মোতাবেক প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন ক্রো।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।