ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

টেস্টে রানমেশিন স্মিথের বছর

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
টেস্টে রানমেশিন স্মিথের বছর ছবি: সংগৃহীত

ড্র হওয়া মেলবোর্ন টেস্ট দিয়ে শেষ হলো ২০১৭ সালের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। ইতোমধ্যেই অ্যাশেজ সিরিজ হেরে যাওয়া ইংল্যান্ডের জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। মাটি কামরানো ব্যাটিংয়ে অপরাজিত থাকেন ২৭৫ বলে ১০২ রানে। সাদা পোশাকে এ যেন রানমেশিন স্মিথেরই বছর।

হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ তে পিছিয়ে রইলো ইংলিশরা। আগামী ৪ জানুয়ারি শুরু পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।

চার ম্যাচের ৬ ইনিংসে ব্যাট করে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সর্বোচ্চ রানস্কোরার (৬০৪) স্মিথ।  স্মিথ-ওয়ার্নারের ব্যাটে মেলবোর্ন টেস্ট ড্র

সবশেষটি ক্যারিয়ারের ৬০ টেস্টে ২৩তম। তাতেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডন ব্র্যাডম্যান (৫৯ ইনিংস) ও সুনীল গাভাস্কারের (১০৯ ইনিংস) পর সবচেয়ে কম ইনিংস (১১০) খেলে ২৩টি শতক পূরণ করেছেন।

এ বছর টেস্ট ক্রিকেটে স্মিথেরই জয়জয়কার। ১১ ম্যাচে তার রান দাঁড়িয়েছে ১৩০৫। ব্যাটিং গড় ৭৬.৭৬। সমান ম্যাচে ৬৭.০৫ গড়ে ১১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের চেতশ্বর পুজারা। সেরা পাঁচে যথাক্রমে ডিন এলগার (১২ ম্যাচে ১১২৮), বিরাট কোহলি (১০ ম্যাচে ১০৫৯), দিমুথ করুনারত্নে (১৩ ম্যাচে ১০৩১)।

সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকও স্মিথ। ৬ বার তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। কোহলি ও ডিন এলগার দু’জনই ২০১৭ সালে পাঁচটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।

টেস্ট ইতিহাসে স্বদেশী কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একাধিক পঞ্জিকাবর্ষে ছয় সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন স্মিথ। এর আগে ২০১৫ সালে সাদা পোশাকে ৬ বার শতক হাঁকিয়েছিলেন। । পন্টিংয়ের ৭টি সেঞ্চুরিরও রেকর্ড রয়েছে। ৮টি কারো নেই।

এ তো গেল টেস্টের নাম্বার ওয়ান স্মিথ বীরত্বের কথা। ওয়ানডেতে আবার ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির দাপট। চলতি বছর ২৬ ম্যাচে ৭৬.৮৪ গড়ে ১৪৬০ রান করেছেন। পাঁচ ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় অবস্থানে সতীর্থ রোহিত শর্মা। ২১ ম্যাচে তার রান ১২৯৩। সেরা পাঁচের বাকি তিনজন যথাক্রমে উপুল থারাঙ্গা (২৫ ম্যাচে ১০১১), জো রুট (১৯ ম্যাচে ৯৮৩), রস টেইলর (২০ ম্যাচে ৯৬৮)।

সেঞ্চুরি সংখ্যায় কোহলি ও রোহিত দু’জনই ৬টি করে শতক হাঁকিয়েছেন। পাকিস্তানের বাবর ৪ বার হান্ড্রেড উদযাপন করেন।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হিসেবে বছর শেষ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস। ৯ ম্যাচে তার নামের পাশে ৩৫৭ রান। গড় ৪৪.৬২। স্ট্রাইক রেট ১৫৪.৫৪। ৫ রান পিছিয়ে দ্বিতীয় পজিশনে ১০ ম্যাচ খেলা বাবর আজম। তিন নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকান আইকন এবি ডি ভিলিয়ার্স (৭ ম্যাচে ৩০৪)।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।