ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মিরপুরের ডিমেরিটের বিপরীতে বিসিবির আপিল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
মিরপুরের ডিমেরিটের বিপরীতে বিসিবির আপিল ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বাজে পিচের কারণে আইসিসির দেওয়া ডিমেরিট পয়েন্টের বিপরীতে আপিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ১৪ মার্চ এনিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন আইসিসির ক্রিকেট জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যাল্লারডাইস ও ক্রিকেট কমিটির প্রধান অনিল কুম্বলে।

ইতোমধ্যে এই স্টেডিয়ামকে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে স্টেডিয়ামটির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কেননা আর পাঁচ বছর সময়কালের মধ্য যদি আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় তবে, এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবে শের-ই-বাংলা!

সর্বশেষ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরের শের-ই-বাংলায়। যেখানে আড়াই দিনের মধ্যেই স্বাগতিকরা ২১৫ রানে হারে। পুরো ম্যাচেই দু’দলের চার ইনিংস মিলিয়ে ৪০ উইকেটের বিপরীতে ওঠে মাত্র ৬৮১ রান। কোনো সেঞ্চুরি না আসা এই ম্যাচে সর্বোচ্চ এক ইনিংসে ৭০ করেন লঙ্কান রোশেন সিলভা।

এই টেস্টে অনিয়ন্ত্রিত বাউন্স ও স্পিন বলে বাজে টার্নের কারণে ব্যাটসম্যানরা কোনো সুযোগই পাননি তাদের স্কিল প্রদর্শন করতে। এমনটি জানিয়ে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন শের-ই-বাংলার পিচকে ‘বাজে’ হিসেবে আখ্যা দেন। স্টেডিয়ামকে দেওয়া হয় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

এর আগে গত বছর আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাজে আউটফিল্ডের কারণে শের-ই-বাংলাকে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে মিরপুরের আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের পর চট্টগ্রামকেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছিল আইসিসি। তার ব্যখ্যা ছিল, ম্যাচে প্রচুর রান উঠেছে, ফলে বোলাররা কোনো সুবিধে পায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।