ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের একটি মুহূর্ত-ছবি: সংগৃহীত

প্রথম চার ম্যাচের ধারা বজায় রেখে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের দেওয়া ৩৬৫ রানের বিশাল  টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৩৩ রানেই থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ১৩১ রানে জিতে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।

বুলাওয়েতে রোববার (২২ জুলাই) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। সিরিজের আগের সব ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান।

উদ্বোধনি জুটিতে তারা ১৬৮ রান করেন।  

আগের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ফখর জামান এই ম্যাচেও দারুণ শুরু করেছিলেন। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরিও। তবে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে রোচের বলে উইকেটরক্ষক মুরের ক্যাচে পরিণত হন তিনি।  

ফখরের বিদায়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইমাম। তোলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তবে ম্যাচের আলো কেঁড়ে নেন ওয়ান ডাউনে নামা বাবর আজম। ৭৬ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের উজ্জ্বল এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ছয় বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস পাকিস্তানের রান ৩৬৪ রানের পাহাড়ে পৌঁছায়।

জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের তোপে পড়ে রান করতে হিমশিম খেতে হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান উঠতেই মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ইমামের হাতে ক্যাচ তোলে দিয়ে বিদায় নেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার কামুনহুকামুই (৩৪)। এর কিছুক্ষণ পর দলীয় ৭০ রানে হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৩৪)।  

এরপর বাকি সব ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পেলেও রান তোলার গতি স্লথ হওয়ায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩৩ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ১৩১ রানের জয় তোলে নেয় পাকিস্তান। আর পাঁচ ম্যাচের সবকটি ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় জিম্বাবুয়ে।

ম্যাচসেরা হয়েছেন বাবর আজম।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও বেশ কিছু রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ফখর। ১৭ ইনিংসে ৯৮০ রান নিয়ে খেলতে নামেন আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে প্রথম দ্বিশতক হাকানো ফখর জামান। টেন্ডাই চাতারার বলে চার মেরে ১৭ থেকে ২১ রানে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ডের খাতায় নাম উঠে যায় ফখরের। মাত্র ১৮ ইনিংসেই রেকর্ড গড়লেন তিনি।

ফখর জামানের আগে এই রেকর্ডে নাম ছিল পাঁচ ব্যাটসম্যানের। ২১ ইনিংস খেলে দ্রুততম ১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো পাঁচজনের মধ্যে জামানের স্বদেশী ও বর্তমান সতীর্থ বাবর আজমও আছেন। বাকি চারজন হলেন- ভিভ রিচার্ডস, কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট ও কুইন্টন ডি কক।

ওয়ানডেতে ২১ ইনিংসে ১ হাজার রানের মালিক হওয়া প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচে ফখরের রান যথাক্রমে ৬০, ১১৭*, ৪৩*, ২১০* ও ৮৫।

ফখরের রেকর্ড গড়া আরও বাকি আছে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন ফখর। পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে তার রান ৫১৩। আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৬৭ রানের রেকর্ডটি গড়েছিলেন তিনি।  

আরও একটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ফখর। প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে আউট হওয়ার পর পরেরবার আউট হওয়া পর্যন্ত রান ৪৫৫। এর মাঝের তিন ইনিংসেই ছিলেন অপরাজিত। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি স্বদেশী সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফের ২০০২ সালে গড়া ৪০৫ রানের রেকর্ড ভেঙেছেন।

আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গে মিলে এদিন আরও একটি শতরানের জুটি গড়েছেন ফখর। একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে উদ্বোধনী জুটিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এখন এই জুটির।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।