ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টি টোয়েন্টিতেও যদি মাশরাফি থাকতো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
টি টোয়েন্টিতেও যদি মাশরাফি থাকতো মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

ঢাকা:  ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সফরকারী লাল সবুজের দেবদূত  হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রি‌কে‌টের দিনবদলের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।  তার সুনিপুণ নেতৃত্ব,  অসাধারণ বোলিং এবং চমকে দেয়া ব্যাটিংয়েই টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয়ানদের কাছে দুমড়ে মুচরে যাওয়া দলটি ওয়ানডেতে ৯ বছর পরে দেশের বাইরে সিরিজ জয়ের গৌরব লাভ করেছে।

মাশরাফির এই নেতৃত্ব গুণকে বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশ ক্রি‌কে‌টের সাবেক ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ও নারী  ক্রি‌কে‌ট দলকে বদলে দেয়ার কারিগর নাজমুল আবেদিন ফাহিম টি-টোয়েন্টি দলেও তাকে পেতে ব্যাকুলতা প্রকাশ করেছেন।

রোববার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রি‌কে‌ট বোর্ডের অফিস কক্ষে হতাশা নিয়েই নাজমুল আবেদিন বলেন, মাশরাফি নিঃসন্দেহে আমাদের সেরা বোলার।

ওর সেন্স, ওর বোলিং বোধ এটা খুব কম মানুষের মধ্যে আছে। কারণ অন্যদের যে পেস সেটা কিন্তু মাশরাফির নেই।  ওর বোঝাপড়া এত ভালো, এত চমৎকা। ম্যাচের অ্যাঙ্গেল বোঝে, পরিস্থিতি বোঝার চমৎকার ক্ষমতা রয়েছে।

‘ব্যাটসম্যান কী করতে চাইছে সে অনুযায়ী বল করে। ও বল করে দেখে না ব্যাটসম্যান কী করল। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই ওর হিসেবটা মিলে যায়। মারাত্মক আত্মবিশ্বাসী। ও পারে বলেই আত্মবিশ্বাস আসে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় টি-টুয়েন্টিতে যদি মাশরাফি থাকতো চারটা ওভারের চমৎকার বোলিং পেয়ে যেতাম। ’

‘মাশরাফি যখন বল করে আমি নিশ্চিন্ত মনে থাকি। তার মানে এই না যে চার বা ছয় তাকে হজম করতে হয় না। কিন্তু ব্যাটসম্যান চাপের মধ্যে থাকবে এটা মাশরাফি খুব ভাল বোঝে। ’যোগ করেন নাজমুল আবেদিন।

নাজমুল আবেদিন ফাহিম।  ছবিঃ সংগৃহীত

বয়স ৩৩ পেরিয়ে ৩৪-এর দিকে ছুটতে শুরু করেছে মাশরাফির। কিন্তু তার বল দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। তার লেংথ, ভেরিয়েশন সবকিছুই যেন তরুণ পেসারদের চেয়েও নিখুঁত। যে বিষয়টি তার অদ্বিতীয় সেটা হলো সিম বোলিং। বাংলাদেশের পেসারদের ভেতর তিনিই একমাত্র পেসার যিনি ধারাবাহিক সিমে বল ফেলতে পারেন।

এসবের ফলও হাতেনাতেই পাচ্ছেন। এমন অনিন্দ্য সুন্দর সিম বোলিংয়েই উইন্ডিজদের বিপক্ষে খেলা তিন ওয়ানডেতে শিকার করেছেন ৭ উইকেট। তিন ম্যাচেই বল হাতে টাইগারদের হয়ে  প্রতিপক্ষের শিবিরে প্রথম আঘাতটি হেনেছেন তিনিই।

সিরিজে বল হাতে সফল এই ক্রি‌কে‌টার ব্যর্থ হননি  ব্যাট হাতেও। শনিবার (২৮ জুলাই) সেইন্ট কিটসে শেষ ওয়ানডেতে চারে নেমে ঝড়ো ব্যাটে ২৫ বলে ৩৬ রান করে দলের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে  ( ৩০১) অবদান রেখেছেন।

কিন্তু ওয়ানডের অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এই ক্রিকেটার ম্যানেজমেন্টের অনিহাতেই গেলো বছর এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে হঠাৎ করেই অবসর নিয়ে নেন টি২০ থেকে। এরপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেশ কয়েকবার তাকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরানোর চেষ্টা করেছে বিসিবি। কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।