ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সরফরাজকেও তুলে নিলেন মোস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
সরফরাজকেও তুলে নিলেন মোস্তাফিজ মোস্তাফিজ-ছবি: সংগৃহীত

নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করলেন মোস্তাফিজ। এর আগে নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।

এর আগে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার ফখর জামানকে বিদায় করে দেন বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। মাত্র ২ রান তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।

মিড অনে তুলে মারতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। কিন্তু বল গিয়ে জমা হয় রুবেল হোসেনের হাতে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আবুধাবি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩৯ রানে সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  

টসের সময়ই জানা যায় দলে নেই দলের অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে দলে নেয়া হয় মুমিনুল হককে। বাদ দেয়া হয় আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকেও। আনা হয় পেসার রুবেল হোসেনকে।  

ইনিংসের শুরুতেই সেই পুরানো চেহারা বাংলাদেশের। মাত্র ১২ রানেই নেই ৩ উইকেট। ত্রান কর্তা হয়ে ওঠেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। তাদের ব্যাটে ভর করেই ২৩৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।  

মুশফিক এক রানের জন্য পাননি এশিয়া কাপের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিত পূর্ণ করে ৬০ রানে ফেরেন মিঠুন।

এর আগে জুনায়েদ খানের করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন এক বছর পর ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া  সৌম্য সরকার। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেন ফখর জামান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন মুমিনুল হক।  

পরের ওভারের চতুর্থ বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দুর্দান্ত এক শটে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান মুমিনুল। কিন্তু পরের বলেই আফ্রিদির অসাধারণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ৪ বলে ৫ রান করে ফেরেন মুমিনুল।

পরের ওভারে ফেরেন ওপেন করতে নামা লিটনও। ১৬ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশের দলের ওপেনিংয়ের সেই পুরানো দৃশ্য। মাত্র ১২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতনে উইকেটে আসেন মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সাথে মিলে গড়েন শতরানের জুটি। ৬৬ বল খেলে মাত্র ৩ চারের মারে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসেন মিঠুন।  

সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মুশফিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ১ রানের জন্য ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ৯৯ রানে গিয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদির দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক।  

এরপর আর কেউই বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ চেষ্টা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১১ বলে ১ চারের মারে ১২ রান করেন মিরাজ।  

জুনায়েদ খানকে সজোরে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরত যান মাহমুদউল্লাহ। ৩১ বল খেলে ১ চারের মারে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার ১৩ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ২৩৯ রানে থামে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের পক্ষে একাই চার উইকেট নেন জুনায়েদ খান। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন অন্য দুই পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।