এই তিনটি সিরিজের মধ্যে মাশরাফিদের ভারতবধ ছিলো সম্পুর্ণ ভিন্ন স্বাদের। কেন? স্পিন নির্ভর দেশটি ওয়ানডের রাজ্যের রাজাদের তিনটি ম্যাচেই নাকাল করেছিলেন পেস আক্রমণে।
মোস্তাফিজ, মাশরাফি, রুবেল, তাসিকনদের আগুন বোলিংয়ে পুড়ে ছাই হয়েছিলো সফরকারী ভারত। তিন ওয়ানডেতে ধোনি, কোহলিদের মোট ২৬ উইকেটের ২১টিই ছিলো পেস বোলারদের দখলে। বাকি দুটি সিরিজ জয়েও মাশরাফি, মোস্তাফিজদের অবদান ছিলো। এতো গেল ঘরের মাঠের দৃষ্ঠান্ত।
বিদেশের মাঠের দৃষ্টান্ত টানতে গেলে অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে হবে না। চলতি বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে এই পেসাররাই স্বাগতিকদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ছিলেন। কাজেই ৯ ডিসেম্বর থেকে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজেও পেসারদের ভাল না করার কোনো কারণই দেখছেন না অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন। তার মতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজ জয়ে পেসাররাই যথেষ্ট। ‘অবশ্যই পেসাররা ক্ষমতা রাখে এবং ওয়ানডে জিতিয়েছেও পেস বোলাররা, আপনি যদি দেখেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। এই কন্ডিশনেও অবশ্যই জেতাতে পারবে, ওয়ানডেতে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকবে না, যেভাবে টেস্টে ছিল। আর আমাদের যেই পেস বোলাররা আছে, এই কন্ডিশনে অবশ্যই ম্যাচ জেতাতে পারবো। ’
স্পিনার, পেসারদের প্রসঙ্গটি অবশ্য হঠাৎ করেই আসেনি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজের প্রথমটির একাদশে একজন পেসার রাখা হলেও দ্বিতীয়টিতে পেসহীন একাদশ সাজিয়েছিলো স্বাগতিক ম্যানেজমেন্ট। বিষয়টি অনেকটাই এমন.. পেসারদের আর কী প্রয়োজন? যে উইকেট তাতে চার স্পিনারই যথেষ্ট। বলে রাখা ভালো সাদা পোশাকে পেসারহীন বাংলাদেশ এবারই প্রথম। তাতে অবশ্য কিছুটা হতাশ মনে হলো এই সিনিয়র টাইগার পেসারকে। ‘আমাদের অবস্থাটা ওইরকম ছিল। আমাদের উইকেটটা ওইভাবে তৈরি করা ছিল, স্পিনারদের ফেভারেই। আর অবশ্যই, স্পিনাররা যখন ভালো করে, পেস বোলাররা খেলতে পারছে না, এটা একটু দুঃখজনক। তারপরও আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডেতে এমন হবে না, ওয়ানডেতে একটু ডিফ্রেন্ট হবে। উইকেটে ওইভাবে স্পিন থাকবে না। আমার কাছে মনে হয় না ওরকম হবে। ’
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি ৯ ডিসেম্বর মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস