কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এমন সুবিশাল মঞ্চ সামনে থাকা সত্বেও তিনি ততটা উচ্চকণ্ঠ নন। বরং বরাবরের মতোই ব্যক্তিগত অর্জনকে পাশ কাটিয়ে গেলেন।
‘ধন্যবাদ মনে করার জন্য। আমার আসলে খেয়াল ছিল না। আমি আগেও বলেছি, এগুলো আমাকে স্পর্শ করে না। এগুলো আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের ম্যাচটা জেতা। এইদিক থেকে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে অন্তত ২০০তম ম্যাচ খেলা হচ্ছে। ’
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বর্তমান নিয়ে মাশরাফি এমন নিরুত্তাপ অনুভূতি প্রকাশ করলেও ভবিষ্যতের ভাললাগার বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলেন না মোটেও।
‘অবশ্যই ভালো লাগবে একটা সময়। যখন মানুষ বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছো। এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু কালকের ম্যাচের ওপরে আর কিছুর গুরুত্ব একেবারেই নাই। এটা চিন্তা করে খেলার সুযোগ নেই। কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে জিততে হবে এটাই। ’
সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা এসময় জানতে চান মাইলফলক স্পর্শকারী ম্যাচটিতে জিততে হলে কী করতে হবে? তাদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফির উত্তর হলো, ‘আমাদের সব বিভাগ ভালো করলে আমাদের সুযোগ থাকে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে, এ উইকেট কেমন বিহেভ করবে, সেটার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি ব্যাটিংয়ে হেল্প করে তাহলে বোলারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে। আসলে উইকেট জাজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু মিরপুরে দুটি ম্যাচ খেলা, উইকেট কেমন বিহেভ করবে সেই ইনিশিয়াল জাজমেন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস