খোলা চোখে দেখলে অনেকেরই মনে হতে পারে তিনি লাল-সবুজের ক্রিকেটের নিখাঁদ এক ভক্ত। কিন্তু বাস্তবতা পুরোটাই ভিন্ন।
শুধুই কি ওই বৃদ্ধা? কালোবাজারিদের পসার জমিয়ে তুলতে ব্যবহৃত হচ্ছে ১০-১২ বছরের কিশোর, গার্মেন্টস কর্মী, ভিক্ষুক, এমনকি গৃহকর্মীরাও। হাজার হাজার ক্রিকেট ভক্তদের লাইনের ভেতর থেকে পুলিশের সহায়তা নিয়ে অনায়াসেই তারা টিকিট নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। আর সেই দৃশ্য দেখে ক্ষোভে ফেঁটে পড়ছেন দুই দিন ধরে টিকিটের জন্য অপেক্ষমানরা।
লাইনে দাঁড়িয়ে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করায় তাদের দমাতে তেড়ে ফুঁড়ে আসছেন পুলিশ। আবার লাইন একটু এদিক ওদিক হলেই সহ্য করতে হচ্ছে লাঠির আঘাত। বিনিময়ে টিকিট পেলে হয়তো তাদের এই ব্যথা ঘুচে যেত। কিন্তু হায়! টিকিটি যে নেই! ঘন্টা বাদেই কাউন্টার বন্ধ করে দিয়ে কর্তারা বললেন টিকিটি শেষ।
রোববার (৯ ডিসেম্বর)সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় টিকিটি বিক্রির এমন অব্যবস্থাপনাই চোখে পড়ে।
অব্যবস্থাপনার এমন বাড়াবাড়ি চোখে পড়তো না যদি না শের ই বাংলার ২৬ হাজার দর্শক ধারণাক্ষতার গ্যালারির ১৫ হাজার টিকিটই আগে না বিক্রি হয়ে যেত। বুথে দেয়া হয়েছে ৫ হাজার। বাকি ৫ হাজার টিকিট কোথায় সে তথ্য নেই কারও কাছে।
টিকিটের টানপোড়েনের এই দৃশ্য সংকটোউত্তরণের পথ আজো দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম