ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

উঁকি দিচ্ছে ইনিংস পরাজয়, ঠেকাতে পারবেন রিয়াদরা?

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
উঁকি দিচ্ছে ইনিংস পরাজয়, ঠেকাতে পারবেন রিয়াদরা? ইনিংস পরাজয় উঁকি দিচ্ছে টাইগারদের-ছবি: সংগৃহীত

টেস্টের মাত্র তৃতীয়দিনেই ইনিংস পরাজয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। মূলত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭১৫ (ডি.) রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে সফরকারীদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তামিমের ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও দিনশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এখনো ইনিংস পরাজয় এড়াতে টাইগারদের চাই আরও ৩০৭ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। জয়ের আশা তো আগেই শেষ, প্রশ্ন একটাই, কাল কি ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারবেন সৌম্য-মাহমুদউল্লাহরা?

শনিবার (০২ মার্চ) কিউইদের রানের পাহাড়ের জবাবে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শাদমান ইসলামের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিনা উইকেটে ৮৮ রান তুলে ফেলা বাংলাদেশ হুট করেই পরবর্তী ২২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে।

শাদমান ইসলাম (৩৭) ছাড়া বাকি দুই ব্যাটসম্যান তথা মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই বিদায় নেন।

প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালের ব্যাট দ্বিতীয় ইনিংসেও হেসেছে। ৬৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে একসময় টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু টিম সাউদির লাফিয়ে উঠা এক বলে উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় সেই সম্ভাবনা। তবে যাওয়ার আগে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৮৬ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও ১টি চক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

তামিমের বিদায়ের পর হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সৌম্য ৩৯ রানে ও রিয়াদ ১৫ রানে অপরাজিত থেকে যখন মাঠে ছাড়েন দলের রান তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪। এখনো ইনিংস পরাজয় থেকে বাঁচতে হলে ৩০৭ রান করতে হবে টাইগারদের। হাতে আছে দুদিন। খুব অবিশ্বাস্য কিছু না হলে অবশ্য বাংলাদেশের সামনে ইনিংস পরাজয়ই অপেক্ষা করছে।

এদিকে দিনের শুরুতে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ৭১৫ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে নিউজিল্যান্ড। রীতিমত রান উৎসব করেছে নিইউজিল্যান্ড। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৪৫১ রানের সংগ্রহকে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত ব্যাট করে ৭১৫ পর্যন্ত টেনে নিয়ে তবেই থামে তারা। এটি তাদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৬০৯ রান ছিল তাদের আগের রেকর্ড।

আগেরদিন ৯৩ রানে অপরাজিত কেন উইলিয়ামসন এদিন তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে আগেরদিন অপরাজিত থাকা নেইল ওয়েগনার ৪৭ রানে করে ইবাদাত হোসেনের প্রথম টেস্ট উইকেট হয়ে ফিরেছেন। এরপর ব্র্যাডলি-জন ওয়াটলিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।

হাতে রানের সংগ্রহ আকাশচুম্বী অবস্থানে নেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ডাবল হাঁকিয়েই ইনিংস ঘোষণা করে দেন কিউই অধিনায়ক। ২৫৭ বলে খেলা এই ইনিংস ১৯টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মাত্র ৫৩ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন। এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

বল হাতে একটা লজ্জার রেকর্ড সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের। ৪৯ ওভার বল ঘুরিয়ে মাত্র ২ উইকেট পেতে তাকে খরচ করতে হয়েছে ২৪৬ রান, যা টেস্টে বাংলাদেশের যেকোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলিং। ওভার পিছু ৫.২ রান করে খরচ করেছেন তিনি। এছাড়া সৌম্য সরকার ২টি আর ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ইবাদাত হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।