ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জহুরুলের ব্যাটে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
জহুরুলের ব্যাটে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারালো আবাহনী। ছবি: শোয়েব মিথুন

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই যেন উত্তেজনায় ঠাসা এক জমজমাট ম্যাচ। তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সেই লড়াইয়ের আমেজ এখন আর দেখা যায় না। মাঠে থাকে না দর্শক। বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট হোক আর ফুটবল, সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আবাহনীর একক অধিপত্যে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই উত্তেজনা।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে মুখোমুখি হয় আবাহনী লিমেটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।

মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪৮ রান করে মোহামেডান। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখে সহজ জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।

২৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। উদ্বেধনী জুটিতে ১০৫ রান আসে। সৌম্য ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে শাহাদাত হোসেনের বলে আউট হন। দারুণ ব্যাট করে আবাহনীকে জেতান জহুরুল।  ছবি: শোয়েব মিথুনএরপর দেখেশুনেই ব্যাট চালাতে থাকেন জহুরুল ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফর। অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন তারা। জাফর ৩৮ রান করে আউট হন। দলের রান তখন ১৭৪। পরে নাজমুল ইসলাম শান্ত ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান।

অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন জহুরুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৯৬ রান করে শাহাদাতের বলে আউট হন জাতীয় দলে খেলা এই ব্যাটসম্যান। জয়ের জন্য তখন আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। পরে সাব্বির রহমানকে সাথে নিয়ে জয়ের জন্য প্রযোজনীয় রান তুলে নেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ১৫ বল হাতে রেখে পায় আবাহনী। মোহামেডানের শাহাদাত ২টি এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও শফিউল ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন লিটন দাস ও আব্দুল মজিদ। ২৮ রান করে আউট হন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রান যোগ করেন মজিদ ও ইরফান শুকুর। দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হন মজিদ। পুরোনো দুই বন্ধু আশরাফুল (মোহামেডান) ও মাশরাফি (আবাহনী) দুই দলে।  ছবি: শোয়েব মিথুনতৃতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক রকিবুল হাসান ও ইরফান। ৬৮ রান যোগ করেন তারা। অর্ধশতক তুলে নেন ইরফান। ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। স্কোর বোর্ডে রান তখন ১৫৫। নাদিফ চৌধুরীও ৭ রান করে দ্রুত বিদায় নেন। অধিনায়ক রকিবুল ৫১ রান করে দলীয় ১৯৫ রানে আউট হন। চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৪ বলে ৩২ ও সোহাগ গাজী ২০ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট ২৪৮ রান করে মোহামেডান। আবাহনীর সাউফউদ্দিন ও নাজমুল ৩টি এবং মোসাদ্দেক হোসেন ১টি উইকেট নেন।

আবাহনীর জহুরুল ইসলাম ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।

এই জয়ে ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছে আবাহনী। ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে মোহামেডান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘন্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
আরএআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।