বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম ভরসার নাম মুশফিক। সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের পাশাপাশি দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি।
বয়স নিয়ে চিন্তা না করেই ২০১৩ বিশ্বকাপের দিকে চোখ রাখছেন মুশফিক। পরের বিশ্বকাপে বড় অর্জনের দিকেই তাকাচ্ছেন তিনি। ক্রিকবাজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুশি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে, আমার একটি বড় পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমি সিরিজ বাই সিরিজ নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করি। আমি সেই অনুসারে প্রস্তুতি নিই এবং সেই অনুসারে অনুশীলন করি। যখন আপনি সিরিজ বাই সিরিজ চিন্তা করবেন তখন এটি আপনার ফর্ম ধরে রাখতে সহায়তা করবে। অাপনি যদি অনেকদূর চিন্তা করেন, তাহলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অল্প অল্প করে চিন্তা করতে হবে, তবে দিনশেষে, তা দেখা যাবে অনেকদূরের। কিন্তু এটা আমার লক্ষ্য- ২০১৩ বিশ্বকাপ খেলা। আমি তরুণ হয়ে যাচ্ছি না। আমি এমনভাবে খেলার চেষ্টা করব যাতে আরও ভাল খেলতে পারি। ’
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেটে নিয়েছেন সাকিব। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পরেই বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মুশফিকের। আট ইনিংসে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে নিয়েছেন ৩৬৭ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আনন্দিত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে চতুর্থ স্থানটা পাকাপোক্ত মুশফিকের। চতু্র্থ স্থানে ব্যাট করে ২০১৫ সালের পর থেকে ৪৭.২১ গড়ে রান করেছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপেও নিজের স্থানে ভাল করেছেন।
তার জন্য নিজের প্রতি আত্মতুষ্টি ছিল মুশফিকের কণ্ঠে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অাপনি যদি চার নাম্বার পজিসনের ব্যাটসম্যানের দিকে দেখেন, আমি মনে করি, বিশ্বকাপে রস টেইলরের পরে আমি দ্বিতীয় ছিলাম। এটা অনেক বড় এক সন্তুষ্টির ব্যাপার। এটা আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম, সফলতা অর্জন এবং চ্যালেঞ্চ মোকাবেলায় উৎসাহিত করবে। তাই যা কিছু আমি করি না কেন, তার জন্য আমি আনন্দিত। আমি ম্যাচে দলে অবদান রাখতে চাই এবং জয় অর্জনে সহায়তা করতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
ইউবি