ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্রোটিয়াদের আক্ষেপ বাড়িয়ে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
প্রোটিয়াদের আক্ষেপ বাড়িয়ে দিলেন ডি ভিলিয়ার্স এবি ডি ভিলিয়ার্স-ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু তার ব্যাটে যে এতটুকু মরচে ধরেনি তা গত আইপিএলে আর বিপিএলেও দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এবি ডি ভিলিয়ার্স এবার শিরোনামে এলেন সেই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই, তবে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। আর তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটপ্রেমীদের আক্ষেপ বেড়ে যাওয়ারই কথা।

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে মিডলসেক্সের হয়ে অভিষেক হয়েছে ডি ভিলিয়ার্সের। ইংলিশ ঘরোয়া ক্রিকেটে এটাই তার প্রথম মৌসুম।

গত মে মাসে আইপিএলে খেলার পর লর্ডসের এই ম্যাচটিই তার প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ। আর এই ম্যাচেই মাত্র ৪৩ বলে ৮৮ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক।  

শুরুতে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলেছিল এসেক্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ডাচ তারকা রায়ান টেন ডেসকট। জবাবে ৩৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে মিডলসেক্স। কিন্তু সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে ঝড় তুলেন ডি ভিলিয়ার্স ও ডেভিড মালান। তৃতীয় উইকেট ঝুলিতে ১০৫ রান যোগ করেন দুজনে।  

ব্যাট হাতে মালান ৩৪ বলে ৪৩ রান করলেও সব আলো কেড়ে নেন ডি ভিলিয়ার্স। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে ৫টি চার ও ছক্কা হাঁকান ৬টি। দলও জিতে যায় ৩ ওভার হাতে রেখেই।  

ইংলিশ দর্শকরা গ্রুপ পর্বের মোট ৭ ম্যাচে ডি ভিলিয়ার্স জাদু দেখার সুযোগ পাবেন। এরপর দেশে ফিরে গেলেও যদি মিডলসেক্স নক-আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তাহলে আবার ফিরে আসবেন তিনি।

সর্বশেষ ইনিংসটি নিশ্চিতই প্রোটিয়া সমর্থকদের আক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে। আসলে ডি ভিলিয়ার্স মানেই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় আক্ষেপের নাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনি। কিন্তু বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত অগণিত অর্জনের মাঝেও আক্ষেপ জাতীয় দলের জার্সিতে কোনো শিরোপা না জেতা। শুধু তিনি কেন, দক্ষিণ আফ্রিকাই আজ পর্যন্ত দল হিসেবে কোনো বড় শিরোপা জেতার স্বাদ পায়নি।

তবে ডি ভিলিয়ার্স হতে পারতেন সেই স্বপ্ন পূরণের সারথি। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপে দল সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেওয়ার পর আদতে তাকে আর সেভাবে ফিরতে দেখা যায়নি। ইনজুরির কারণে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে নেন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী এই ব্যাটসম্যান।  

জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে না নামলেও বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিয়মিত দেখা মিলছে ডি ভিলিয়ার্সের। এভাবেই চলছিল সব। কিন্তু বিপত্তি বাজে সর্বশেষ বিশ্বকাপে। আসরে প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে আসে ডি ভিলিয়ার্স ইস্যু।  

বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার ঠিক আগে নাকি ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু তাকে নাকি ফিরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড।  

তখন চুপ থাকলেও আসর শেষে মুখ খুলেন ডি ভিলিয়ার্স। জানিয়ে দেন, তিনি শুধুই প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে দলের প্রয়োজনে পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। জোর করে দলে ঢুকতে চাননি। কিন্তু মিডলসেক্সের হয়ে তিনি যা দেখালেন তাতে হয়তো প্রোটিয়াদের কষ্টের পরিমাণ বেড়ে গেল। তার অভাব যে হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।