রোববার (০৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন। তিনি জানান, এর আগেও একাধিকবার নিজের ইনজুরির কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘সাইফউদ্দিন ক্রনিক লো ব্যাক পেইনে ভুগছে। প্রায় ৯ বছর ধরে এ সমস্যার কথা সে মাঝে-মধ্যেই আমাদের বলে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওর ব্যথাটা বেড়ে যাওয়ায় মাস ছয়েক আগে আমরা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হই, ও এক ধরনের ফ্যাসেট জয়েন্ট সমস্যায় ভুগছে। ফলশ্রুতিতে চিকিৎসার অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের আগে আমরা ওর পুনর্বাসন ও ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করি। তবে তখন পুরোপুরি সাফল্য না আসায় আমরা ওকে ইনজেকশন দিই। এতে ওর ব্যথা কিছুটা কমে এবং সে তার খেলা চালিয়ে যেতে পারে। ’
সমস্যা কারণ না জেনে সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব নয় জানিয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘যেভাবে আমরা এগোচ্ছি, আগে ওর সমস্যার কারণটা বের করতে হবে। সেটা নির্ণয় করা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা চেষ্টা করছি ওকে বাইরে কোথাও পাঠিয়ে ওর একটা বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষার জন্য। কোনো বায়োমেকানিক্যাল সমস্যার জন্য ওর কোমরে কোনো বিশেষ জায়গায় বারবার চাপ পড়ছে কি না, তা নির্ণয় করতে গেলে এ ধরনের সুবিধা আছে এমন জায়গায় ওকে পাঠাতে হবে। ’
‘বিসিবি প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, কোথায় এ ধরনের সুবিধা আছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য। আমরা যোগাযোগ শুরু করেছি, আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে জানতে পারব। ওর কোনো মেকানিক্যাল সমস্যা আছে কি না, তা ধরা গেলে সেটি ঠিক করতে বিদেশি চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুসরণের চেষ্টা করব। ’
চিকিৎসা করা গেলেও কতদিনে কতদিনে সাইফউদ্দিন সুস্থ হয়ে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ বলেন, ‘অ্যাসেসমেন্ট কোনো চিকিৎসা নয়, এটা এক ধরনের পরীক্ষা। অ্যাসেসমেন্টের পরদিনই আপনি খেলতে পারবেন না। আমরা জানতে চাইছি ওর সমস্যাটা কোথায়। এ ধরনের পরীক্ষা বিশেষ কিছু জায়গায় হয়। অস্ট্রেলিয়াতে আছে, ইংল্যান্ডে আছে, এমনকি ভারতেও আছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। যারা সাড়া দেবে আমরা তাদের সঙ্গে এগোনোর চেষ্টা করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমকেএম