সাকিব আল হাসানকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর ফেসবুকে পোস্ট দেন তার স্ত্রী।
দুই বছরের মধ্যে এক বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ, আর বাকি ১ এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা অর্থাৎ খেলতে পারবেন কিন্তু আবারও অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।
পোস্টে শিশির লেখেন, ‘লিজেন্ডরা রাতারাতি লিজেন্ড হয় না, অনেক ঝড়, অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে হতে হয়। কঠিন সময় আসবে, কিন্তু তারা তা দৃঢ়চিত্তে আলিঙ্গন করে নেবে। আমরা জানি সাকিব আল হাসান কতখানি শক্ত! এই নিষেধাজ্ঞা তার নতুন শুরু। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সে শক্তভাবে আবার ফিরে আসবে। ইনজুরির কবলে পড়ে তাকে বহুবার ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছে, আমরা দেখেছি বিশ্বকাপে সে কীভাবে ফিরে এসেছে। শুধু সময়ের ব্যাপার, আপনারা আমাদের যে ভালবাসা ও সমর্থন দেখিয়েছেন, তাতে আমরা অভিভূত হয়েছি। জাতি হিসেবে আমাদের এই ঐক্যটাই দরকার!
আইসিসি’র দুর্নীতিবিরোধী আইনের তিনটি ধারা ভঙ্গ করার কথা স্বীকার করায় তাকে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
সাকিবের বিরুদ্ধে যে ৩ অভিযোগ আনা হয়েছে:
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা ২০১৮ সালের বিপিএলে দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পরও আকসুর কাছে পুরো তথ্য প্রকাশ না করতে পারা।
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পরও আকসুকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
. ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলার সময় দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার কথা আকসুর কাছে প্রকাশে ব্যর্থ হওয়া।
তিনটি অভিযোগই মেনে নিয়েছেন সাকিব। শাস্তি নিয়ে সাকিব আইসিসি’র সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের মাঠে ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
জেডএস