আইসিসি’র দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মূলত তিনবার জুয়াড়ির সাথে সাকিবের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের প্রমাণ পায় অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। প্রথমবার ২০১৭ সালে বিপিএলের ম্যাচের সময়, দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় আর তৃতীয়বার ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচের সময়।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য সাকিবের এই তদন্তের ব্যাপারে কিছু জানতো না এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আইসিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে সাকিবের তদন্তের ব্যাপারে আইসিসি ও বিসিসিআই’র (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) সঙ্গে আলোচনা করেই আইপিএল ম্যাচের তদন্তের ব্যাপারে একমত হন। যার অর্থ দাঁড়ায় সাকিবের তদন্তের ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রথম থেকেই সব কিছু জানতো।
প্রশ্নটা এখানেই, আইপিএল ম্যাচে তদন্তের ব্যাপারে আইসিসি যদি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তবে বিসিবি'র সাথে আইসিসি যোগাযোগ করলো না কেন? সাকিবের বিরুদ্ধে তিনবার অভিযোগ উঠেছে, তার দুইবারই বাংলাদেশের ঘটনা। তবুও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি আইসিসি। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্নও ওঠেনি!
আর আইসিসি যদি বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও থাকে তবে সাকিবের শাস্তির কমানোর ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা সে ব্যাপারেও প্রশ্ন থেকে যায়। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন সাকিবকে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে এটাই বাস্তবতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
আরএআর/এমআরপি