সাকিব, তামিম, সাইফদের ছাড়া ভারত সফরে সুযোগ পান নতুনরা। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজটি নতুনদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিংও ছিল।
হাবিবুল জানান, ‘হ্যাঁ, একটু তো কঠিন হবেই নতুনদের জন্য। শেষ ম্যাচটা কিন্তু অনেক চাপের ছিল। আমরা সবাই জানি যে ম্যাচ জিতলে অনেক বড় ব্যাপার হবে। যদি আমরা সিরিজ জিততে পারতাম ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সেই জেতাটা কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার হতো। খু্ব কম টিমই এটা পারে। চাপ তো থাকেই, নতুনদের চাপ নেয়াটা শিখতে হবে। আসলে ক্রিকেটে চাপ ছাড়া তো কিছুই হয় না। নতুনদের এখন হয়তো ভুলটা হচ্ছে কিন্তু আস্তে আস্তে ভুলের সংখ্যাটা কমছে। তারপরও আমরা করছি বলছি না যে, আমরা ভুল করছি না। ওরা যত খেলবে ভুলের সংখ্যা তত কমে আসবে। ’
‘আমরা কিন্তু খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলি না। আমরা শুধু বিপিএল খেলি, ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট কিন্তু সবার খেলার সুযোগ হয় না। সাকিব আল হাসান ছাড়া। আমার মনে হয় যত দিন গড়াবে ছেলেগুলো এই চাপের মুখে আর ভুল করবে না। প্রথম ম্যাচে কিন্তু রিয়াদ-মুশফিক যে ভুলগুলো করেছিল, পরে কিন্তু সেই ভুল আর করেনি। আমার মনে হয় যতোই সময় যাবে ততোই ভুলের সংখ্যাটা আস্তে আস্তে কমে আসবে। ’ যোগ করেন হাবিবুল।
পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশের দল গোছানোর একটা ব্যাপার আছে। টি-টোয়ন্টি বিশ্বকপের দল গোছানো প্রসঙ্গে হাবিবুল জানালেন, ‘ভারত সিরজটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা কিন্তু অলমোস্ট একটা নতুন দল নিয়েই গিয়েছিলাম, অনেককে আবার দলে ফিরিয়েছি। তাদের মধ্যে ছিল আল আমিন, আরাফাত সানি। পুরোনো খেলোয়াড়ও ফিরেছে, কিছু নতুন খেলোয়াড়ও গিয়েছে। ভারত সিরিজের পর আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষার মধ্যে যাবো এমনটাও বলছি না। ’
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের নতুন খেলোয়াড়রা যে ভালো করতে পারে সেটার প্রমাণ পেয়েছি এই সিরিজে। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো খবর। ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। তাই আমার মনে হয় এটা খুব ভালো হলো এবং বিশ্বকাপের আগে আমারা আরও কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো। নরমালি বাংলাদেশে তো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে খেলার সুযোগটা হয় না। এবার বেশ কিছু সুযোগ পাবো। আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিও হয়ে যাবে এবং দলটাও তৈরি হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
আরএআর/এমআরপি