প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাতীয় লিগে এই প্রথম শীর্ষ উইকেট শিকারি হলেন রাজ্জাক। এই মৌসুমে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেছেন ঢাকা বিভাগের তাইবুর রহমান।
প্রথমশ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া রাজ্জাক শেষ রাউন্ডে খেলেননি। ৫ রাউন্ডে বল হাতে তুলে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩১ উইকেট। যেখানে ২.৬৯ ইকোনমিতে ১৯.৬৭ গড়ে উইকেট শিকার করেন তিনি। এই মৌসুমে তার বেস্ট বোলিং ফিগার ৭/৬৯। ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন দুইবার। একবার নিয়েছেন ম্যাচে ১০ উইকেট।
শীর্ষ উইকেট শিকারের তালিকায় দুইয়ে আছেন চট্টগ্রাম বিভাগের পেসার ইরফান হোসেন। ৪ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। তিনে আছেন ৬ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া ঢাকা বিভাগের স্পিনার নাজমুল ইসলাম। আর চারে জায়গা করে নিতে ৪ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম দুই রাউন্ড খেলতে পারেননি চোটের কারণে। তৃতীয় রাউন্ডে মাঠে নামলেও কোনো উইকেট পাননি। পরের তিন ম্যাচে তুলে নেন সবকটি উইকেট।
৫ ম্যাচ খেলে যৌথভাবে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন ১৭ উইকেট নেওয়া ঢাকার সালাউদ্দিন শাকিল এবং সিলেটের রেজাউর রহমান।
এদিকে, ব্যাটসম্যানদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন ঢাকা বিভাগের তাইবুর রহমান। ৬ ম্যাচের ১০ ইনিংসে করেছেন ৫২৩ রান। এই মৌসুমে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি সেঞ্চুরি আর দুটি ফিফটি।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দুইয়ে খুলনা বিভাগের এনামুল হক বিজয়। দুই সেঞ্চুরি আর দুই ফিফটিতে ৯ ইনিংসে তিনি করেছেন ৫০৬ রান। তিনে থাকা ঢাকা বিভাগের রকিবুল হাসান ১০ ইনিংসে করেন ৪৯৮ রান। যেখানে তার কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ৬টি ফিফটির ইনিংস। ১১ ইনিংসে ৪৬০ রান করা রংপুরের নাসির হোসেন তালিকায় চার নম্বরে। এই মৌসুমে তার ব্যাট থেকে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি এসেছে তিনটি ফিফটির ইনিংস। ১০ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি আর একটি ফিফটিতে ৪০৫ রান করা নাসিরের সতীর্থ রংপুরের নাঈম ইসলাম জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষ পাঁচে।
গত তিন মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করা তুষার ইমরান এবার নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন। তালিকায় তিনি ১৯ নম্বরে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের সফলতম এই ব্যাটসম্যান এই মৌসুমে কোনো সেঞ্চুরি পাননি। ৬ ম্যাচের ৮ ইনিংসে তিন ফিফটিতে ৩৩.৮৭ গড়ে ২৭১ রান করেছেন তিনি। ২৭০ রান করে ২০ নম্বরে অলোক কাপালি আর ২৬১ রান করে ২১ নম্বরে মোহাম্মদ আশরাফুল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআরপি