ফাইনালে বিতর্কিত আচরণের জন্য অবশ্য আইসিসি কর্তৃক শাস্তি পেয়েছেন দুই দেশের পাঁচ ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে আইসিসি’র আচরণবিধি লেভেল-৩ ভঙের জন্য শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান।
তবে দেশের যুবাদের এমন দৃষ্টিকটু মনোভাব পছন্দ হয়নি কপিল দেবের। নিজ দেশের বোর্ডের তরফ থেকেও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক তাদের এমন আচরণের জন্য শাস্তি চেয়েছেন। ভারতের এক গণমাধ্যমকে কপিল দেব বলেন, ‘আমি দেখতে চাই দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য বোর্ড (বিসিসিআই) খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ক্রিকেট প্রতিপক্ষকে অপমান করার বিষয় নয়। আমি নিশ্চিত, যুবা তারকাদের শাস্তি দেওয়ার এটাই যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ’
ভারতকে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জেতানো তারকা আরও বলেন, ‘আমি আগ্রাসনকে স্বাগত জানাই, তাতে দোষের কিছু নেই। তবে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ন্ত্রণও রাখতে হবে। প্রতিযোগিতার নামে আপনি পরিমিতির লাইন ক্রস করতে পারেন না। আমি বলব যে, যুবারা ক্রিকেট মাঠে যে নোংরামি প্রদর্শন করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। ’
কেবল কপিল দেব নন, ভারতীয় যুবাদের আচরণে ক্ষুব্ধ টিম ইন্ডিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনও। তিনি বলেন, ‘আমি হলে অসভ্য অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। তবে আমি জানতে চাই দলের সহকারী কর্মকর্তারা এসব যুবাদের কেমন শিক্ষা দিয়েছে তা। এখনই ব্যবস্থা নেন, নয়তো দেরি হয়ে যাবে। খেলোয়াড়দের বিনয়ী হওয়া দরকার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
ইউবি