দুই দেশের মধ্যে বৈরি রাজনৈতিক সম্পর্ক সত্ত্বেও কিছুদিন আগে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ভারতের কাবাডি দল। দুই দল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ডেভিস কাপও খেলেছে।
২০১৩ সালের পর থেকে বহুবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে একে অন্যের মুখোমুখি হলেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এড়িয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তান। আর দুই দল সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছিল সেই ২০০৮ সালে।
ক্রিকেটীয় আকর্ষণের দিক থেকে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ সবসময় এগিয়ে। শোয়েবের মতে, বিষয়টা মাথায় রেখে দুই দলের উচিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা। যদি একে অন্যের মাটিতে না খেলতে চায়, তাহলে অন্তত নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজন করা যায় বলেও মত তার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, ‘পাকিস্তান এখন অনেক নিরাপদ দেশ। ভারতের কাবাডি দল এসেছিল, তারা অনেক ভালোবাসা পেয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও এসেছিল। কিন্তু এরপরও যদি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকে তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার পরামর্শ রইলো। ’
এরপর দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে শোয়েব বলেন, ‘যদি আপনারা (ভারত) সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান, তাহলে বাণিজ্য বন্ধ করুন, কাবাডি খেলা বন্ধ করুন, শুধু ক্রিকেট কেন? যখনই ক্রিকেটের প্রসঙ্গ আসে, আমরা এতে রাজনীতি টেনে আনি, এটা হতাশাজনক। আমরা পেঁয়াজ এবং টমেটো আমদানি-রপ্তানি করি, আমরা হাসিঠাট্টা করি, তাহলে আমরা ক্রিকেট কেন খেলতে পারব না?’
ভারত-পাকিস্তান সিরিজ আয়োজনের একটা উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি, ‘আমি বুঝতে পারি যে পাকিস্তান সফরে আসতে পারবে না ভারত, পাকিস্তানও ভারত সফরে যেতে পারবে না। কিন্তু আমরা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে যাই, তাহলে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়?’
পাকিস্তান কতটা অতিথিপরায়ণ সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে সাবেক ফাস্ট বোলার বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা অতিথিপরায়ণ জাতি এবং ভারত এটা বেশ ভালো করেই জানে। বীরেন্দ শেবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং শচীন টেন্ডুলকারদের জিজ্ঞেস করুন, ওদের আমরা অনেক ভালোবাসি। ’
‘আমাদের মধ্যে থাকা পার্থক্যের কারণে ক্রিকেটের ক্ষতি হতে পারে না। আশা করি খুব শিগগিরই ভারত এবং পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে এবং দুই দলের মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরা রাখা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে সম্প্রতি বিশ্বকাপে অংশ নিতে অ্যামেচার কাবাডি দলের পাকিস্তান সফরের কথা অস্বীকার করেছে ভারত। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেন রিজিজু অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (একেএফআই)-কে কাবাডি দলের ‘আনঅফিসিয়াল’ সফর নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিরেন রিজিজু বলেন, ‘আমাদের অফিসিয়াল কাবাডি দল পাকিস্তান সফরে যায়নি। আমরা জানি না কারা সেখানে (পাকিস্তানে) গিয়েছিল। কোনো আনঅফিসিয়াল দলের এভাবে কোথাও যাওয়া এবং ভারতের নাম সঙ্গী করে খেলায় অংশ নেওয়া ঠিক নয়। আমরা কোনো অফিসিয়াল দল পাঠাইনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএইচএম