বলতে গেলে, পুরো দিনটাই ছিল নাঈম-আরভিনের। মাঝখানে যা একটু ঝলক দেখিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী ও প্রিন্স মাসভাউরে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন টাইগার বোলাররা। কেভিন কাসুজাকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন আবু জায়েদ।
দলীয় ৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রান করে নাঈমের হাতে ধরা পড়েন কাসুজা। তবে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত আর সাফল্যের দেখা পায়নি টাইগার বোলাররা। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসের প্রথম সেশনে ১ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে জিম্বাবুয়েকে পথ দেখান মাসভাউরে ও আরভিন। বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভালোভাবেই খেলতে থাকেন তারা। তবে বিরতির পর ঠিকই আপন কক্ষপথ চিনে নেয় বাংলাদেশ। দু’জনের ১১১ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম। মাসভাউরেকে নিজের বলে নিজেই তালুবন্দী করেন নাঈম। জিম্বাবুয়ে ওপেনারের ১৫২ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চারে।
মাসভাউরেকে হারালেও থামেনি আরভিনের রানের চাকা। মাঝখানে নাঈমের ঘূর্ণিতে কাবু হয়ে ব্রেন্ডন টেইলর (১০), সিকান্দার রাজা (১৮) ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে চলেন তিনি। টাইগার বোলাররা শত চেষ্টা করেও আরভিনকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করতে পারেননি। মাঝখানে আবু জায়েদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে টিমিসেন মারুমা (৭) সাজঘরে ফিরলেও টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
তবে সেঞ্চুরির পর ঠিকই নাঈমের ঘূর্ণিতে কাবু হয়েছেন আরভিন। তার ২২৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩ চারে। আগামীকাল প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন জিম্বাবুয়ের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাবা (৯) ও ডোনাল্ড তিরিপানো (০)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
ইউবি