নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যক্তিগত কারণে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় সমালোচনার কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো থেকে শুরু করে ও বিসিবি সভাপতিও।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টানা ৬ টেস্ট ম্যাচে পরাজয়ের পর এলো এই স্বস্তির জয়। আর দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে যার সংশয় ছিল সেই মুশফিকই এই ম্যাচে অনবদ্য এক ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই যখন অবস্থা, তখন পাকিস্তান সফরের তৃতীয় ধাপে ‘মুশফিকের যাওয়া উচিৎ’ বলে মন্তব্য করলেন বিসিবি সভাপতি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ শেষে পাকিস্তান সফরে মুশফিক যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘মুশফিকের ব্যাপারে আমরা কিছু শুনিনি। তবে আশা করি সে যাবে। দেশের কথাও ভাবতে হবে। পরিবারের পাশাপাশি দেশও গুরুত্বপূর্ণ। ওরা (চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়) সবাই জানে যে যেতে হবে। দেশের পক্ষে খেলা হলে যেতে হবে। ’
পাকিস্তান সফর নিয়ে যে সংশয় ছিল তাও বললেন পাপন, ‘(পাকিস্তান সফর নিয়ে) একটা ভয় ছিল। আমাদেরও ভয় ছিল, যারা গেছে তাদের ভয় ছিল না? কিন্তু এই সিরিজের পর এখন আমাদের যারা খেলে এসেছে, তার (মুশফিকের) বাড়ির লোকও (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ) তো খেলে আসছে। রিয়াদের কাছ থেকেও তো শুনতে পারে, তাদের কাছ থেকে শুনতে পারে যে কি হয়েছে, সতীর্থদের কাছ থেকে শুনতে পারে, আমাদের কাছ থেকে শুনতে পারে। রিয়াদের কিছু হলে কিছু হবে না, ওর (মুশিফকের) বেলায় কান্নাকাটি হবে নাকি?’
কয়েকমাসের নাটক শেষে তিন ধাপে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয় বাংলাদেশ। টাইগাররা সেখানে তিন টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট খেলে এসেছে। এরপর এপ্রিলে তৃতীয় ধাপে একটি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলার কথা রয়েছে। এই শেষ ধাপের সফরেই মুশফিকের যাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন পাপন। তিনি বলেন ‘আমার মনে হয় তার (সিদ্ধান্ত) পরিবর্তন করা উচিৎ। পাকিস্তান ভিন্ন ইস্যু। কারণ পাকিস্তান ইস্যুতে আমি নিজে থেকেই বলেছি যে কাউকে জোর করবো না। আমি মনে করি সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে ওর যাওয়া উচিৎ। ’
শুধু তাই না, ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হকও পাকিস্তান সফরে মুশফিককে চান বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম