কিন্তু না, সিলেটের ক্রীড়ামোদিদের সঙ্গে ক্রিকেটের মিশে থাকা যেন চায়ের কড়া লিকার আর ‘সাতকরা’র ন্যায়। তা আবারও প্রমাণ করলেন সিলেটের মানুষ।
সিলেটের মাঠে বাংলাদেশের সামনে খানিকটা দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্ববুয়ে। যে কারণে গতকাল পর্যন্ত টিকেট বিক্রিতে সাড়া মেলেনি। এ নিয়ে ক্রীড়া বিশ্লেষকরা নানা মন্তব্য জুড়ে দেন।
কেউ বলেন, বিগত মাস ছয়েক একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স সন্তোষজনক ছিল না। আর প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে, তখন ম্যাচও একপেশে হতে পারে। তাছাড়া প্রচারণার অভাবও তুলে ধরেছিলেন অনেকে।
এসব অভিযোগ উৎরে গেছে রোববার (০১ মার্চ) বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর পর।
এদিন বেলা ১টার দিকে যখন টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে, তখন আস্তে আস্তে মাঠে শুরু হয় দর্শক সমাগম। হাঁটি হাঁটি করে বাংলাদেশ দল যখন রানের খাতা ভারি করছিল তখন পূর্ব ও পশ্চিমের গ্যালারি দর্শকদের পদচারণায় মুখর হতে থাকে।
ঘড়ির কাটা ৩টার ঘরে পৌঁছানোর আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেন পৌছান লিটন দাশ। তখন গ্যালারি জুড়ে তাকে নিয়ে মেতেছিলেন দর্শকরা। ১০৫ বলে ১৩টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকিয়ে লিটন ১২৬ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়েন। তখনও সিলেটের দর্শকরা অভিবাদন জানান তাকে।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও মিডিয়া ব্যবস্থাপক ফরহার কোরেশী বাংলানিউজকে বলেন, বিশেষ করে ছুটির দিন থাকলে দর্শক বেশি হয়। এরপরও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম শহরের একপাশে থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসতে বিলম্ব হয়। তাছাড়া কয়েকটি প্রবেশদ্বারে আসতে হয় ছোট গলির সড়ক হয়ে। যে কারণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষ একটু সমস্যায় পড়ে যান। এরপরও যে পরিমাণ দর্শক হয়েছে, তা আশা জাগানিয়া।
বিসিবি’র মিডিয়া ম্যানেজার রাবেদ ইমাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে সিলেটের দর্শকরা সব সময়ই পজিটিভ। টেস্ট কিংবা একিদিনের ম্যাচ হোক, সিলেটের দর্শকরা মাঠে এসে খেলা দেখেন, কখনও হতাশ করেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘন্টা, মার্চ ০১, ২০২০
এনইউ/ইউবি