পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি বেশ কয়েকদিন আগে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা। তারই ধারাবাহিকতা নিজ দেশে দুই হাজার পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। দেশের এই পরিস্থিতিতে আফ্রিদি বেশ কিছুদিন ধরেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সাবান ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। নিজ হাতে গড়ে তোলা ‘শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে আফ্রিদি নিজে এবং তার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সামগ্রী পৌঁছে দেন।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং বেশ কিছুদিন ধরে এই করোনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি এক টুইটবার্তায় আফ্রিদির এই উদ্যোগের বেশ প্রশংসা করেন।
এছাড়া আফ্রিদি তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জা ও জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে থেলাসিমিয়া রোগীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য তাগিদ দেন। কারণ আফ্রিদির ধারণা থেলাসিমিয়া রোগীরাই এই করোনা ভাইরাসে কারণে বেশি শঙ্কার মুখে থাকবেন। এনিয়ে আফ্রিদি একটি টুইটবার্তাও দেন।
এর আগে রোববার (মার্চ ২২) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় আফ্রিদি পুরো বিশ্বের মানুষদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নিজের উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
ভিডিও বার্তায় আফ্রিদি বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। পুরো বিশ্বের পাশাপাশি পাকিস্তানেও করোনার প্রভাব পড়েছে। এই সময়ে আমাদের সকলের দায়িত্ব একে অপরকে সাহায্য করা। এ সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের খেয়াল রাখা। হাত ধোঁয়া, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করা। সবাইকে এ সময় সাবধানে থাকা উচিত। ’
আফ্রিদি আরও বলেন, ‘এ সময় আমাদের আল্লাহর দেখানো পথে চলা উচিত। সামনে রমজান মাস আসছে। এখন আবার করোনার প্রভাবে দেশের পরিস্থিতি ভালো না। সমাজের বিত্তবান লোকেরা বেশি বেশি জিনিসপত্র কিনে নিজেদের দখলে রেখেছে। ফলে গরিব মানুষরা কিছুই পাচ্ছে না। দোকানে গেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না কারণ বিত্তবানরা সবাই সব কিছু নিজেদের দখলে রেখেছে। বাজারে পাওয়া গেলেও তার দাম এত বেশি যে গরিবরা তা কিনতে পারছে না। '
'আমি আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এখানে একটি গ্রামে এমন মানুষদের সাহায্য করতে এসেছি করোনার কারণে যাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক দিয়েছেন যার কারণে চেষ্টা করছি আসহায় মানুষদের সাহায্য করতে। যাতে করে কাল আল্লাহ আমাকে প্রশ্ন না করে বসে আমি তোমাকে অনেক দিয়েছি, তুমি অসহায়দের জন্য কি করেছ?,’ শেষ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম