তবে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন যুবরাজ। মানবতার ডাকে সাড়া দিতে বলার পরেও তাকে নিয়ে এমন সমালোচনা সাবেক অলরাউন্ডার ঠিক মেনে নিতে পারছেন না।
বিষয়টা হচ্ছে, পাকিস্তানে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আফ্রিদির প্রতিষ্ঠিত 'শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন'। এই উদ্যোগের প্রশংসা করে তার পাশে থাকার কথা জানিয়ে ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন যুবরাজ ও হরভজন। হরভজন তো আফ্রিদির ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দিতে ভক্তদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
যুবরাজ টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'এটা খুব কঠিন সময়। এই সময় সবার উচিৎ সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো। চলুন আমরা আমাদের কাজটা করি। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের লড়াইয়ে পাশে আছি। '
অন্যদিকে হরভজন সিং ভিডিও বার্তায় বলেন, 'গোটা বিশ্ব এখন অগ্নিপরীক্ষার মুখে। আসুন, আফ্রিদি ও তার ফাউন্ডেশনের জন্য আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। ওরা খুব ভালো কাজ করেছে। '
যুবরাজ ও হরভজনের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনে আপ্লুত হন আফ্রিদিও। এই দুই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের কাছ থেকে সবসময় সমর্থন পাওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, তাদের এই সমর্থন প্রমাণ করে 'ভালোবাসা ও শান্তি কোনো সীমানা মানে না। তবে এরপর থেকেই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ভারতীয়দের অনেকে প্রশ্ন তোলেন, নিজ দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সমর্থন করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত? অনেকে তাদের 'আফ্রিদি' প্রীতি নিয়ে কটাক্ষ করেন।
তীব্র সমালোচনার জবাবে এক টুইট করেন যুবরাজ। লেখেন, 'আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না, কীভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার আহ্বান জানানোর একটি মেসেজের অন্য অর্থ বের করা হলো! আমি ওই মেসেজের মাধ্যমে শুধু এটাই বলতে চেয়েছি, প্রত্যেককে এখন নিজ নিজ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারো অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য আমি পোস্ট করিনি। আমি একজন ভারতীয়, চিরকাল ভারতীয়ই থাকব এবং আমি চিরকাল মানবতার পাশে দাঁড়াব। '
যুবরাজের মোক্ষম জবাবের পর আর কেউ তাকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার সাহস পায়নি। এবার যুবরাজ ও হরভজনের সমর্থনে টুইট করেছেন আফ্রিদিও। তিনি লেখেন, 'মানবিক সাধারণ একটি মেসেজকে যেভাবে ভিন্ন অর্থ করা হলো সেটি সত্যিই দুঃখজনক। আমরা ভালোবাসা এবং শান্তির প্রতিনিধি। যুবরাজ ও হরভজনের সমর্থন এবং সবাইকে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানোটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস