শোয়েবের পরামর্শ অনুসারে, 'বন্ধ দরজা' ম্যাচগুলো থেকে যা আয় হবে তা দুই দেশের দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। কিন্তু সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের এই পরামর্শ ভালোভাবে নেননি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।
কিংবদন্তি ভারতীয় অলরাউন্ডারের যুক্তি ছিল, তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করে খেলোয়াড়দের ঝুঁকির মুখে কেউ ফেলতে চাইবে না। অন্তত আগামী পাঁচ-ছয় মাস তিনি ক্রিকেট নিয়ে না ভাবার নিদান দিয়েছেন। তাছাড়া দুস্থদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) ৫১ কোটি রুপি দিয়েছে। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররাও বড় অবদান রাখছেন।
কপিলের মন্তব্যের জবাবে এবার মুখ খুলেছেন শোয়েব আখতার। ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল 'আজ তাক'কে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় না আমার কথা কপিল ভাই বুঝতে পেরেছেন। সবাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাই সময় আমাদের একসঙ্গে কাজ করার এবং উপার্জন করার। বিশ্বব্যাপী যত দর্শক আছে সবাই ম্যাচ দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কপিল বলেছেন তার অর্থের দরকার নেই এবং এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু অন্য সবার দরকার। আমি আশা করব এই (ম্যাচ আয়োজনের) পরামর্শ গৃহীত হবে। '
'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' আরও বলেন, 'আগেও বলেছি যে আমি এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চেয়েও ভারতকে বেশি জানি। আমি সেখানকার অনেক জায়গা ঘুরেছি এবং বহু মানুষের সঙ্গে মিশেছি। আমি এখানকার (পাকিস্তানের) মানুষদের ভারতীয়দের সম্পর্কে বলি। আমাদের দুই দেশেই দারিদ্রতা অনেক বেশি। মানুষ যখন কষ্ট পায় আমার খারাপ লাগে। একজন মানুষ এবং মুসলিম হিসেবে, মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা আমার কর্তব্য। '
খেলোয়াড়, ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে বহুদিন কাটিয়েছেন শোয়েব আখতার। সেসব দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের পর, ভারত থেকেই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছি। ভারতের মানুষদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমি হিমাচল প্রদেশ থেকে কেরালা, কেরালা থেকে উত্তরাখণ্ড তথা পুরো ভারতে ঘুরেছি। '
'তাই আগামী ৬ মাস যদি কিছুই (ক্রিকেট ম্যাচ) না হয় তাহলে আমাদের হাতে আর বিকল্প কি আছে সেটাই বলতে চেয়েছিলাম। যাদের জীবিকা ক্রিকেট ঘিরে তারা কী করবে? আমাদের হাতে তাই অনুদান সংগ্রহ করার জন্য ম্যাচ আয়োজন ছাড়া উপায় নেই। এটা হয়তো দুই দেশের সম্পর্কের জন্যও ভালো হবে। আমি বৃহৎ স্বার্থে কথাগুলো বলছি,' শেষ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এমএইচএম