আইসিসি সহযোগী দেশগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইসিসি ট্রফি। প্রথম রাউন্ডে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে বাংলাদেশ।
ফাইনালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকরাম খান। শুরুতেই কেনিয়ার ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। স্টিভ টিকোলো ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পাননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৪৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪১ রান করে কেনিয়া। বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক ৩টি এবং খালেদ মাহমুদ ও সাইফুল ইসিলাম ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
বৃষ্টির কারণে প্রথম মাঠে নামা হয়নি বাংলাদেশের। ফলে খেলা গড়ায় রিজার্ভ ডে অর্থাৎ পরের দিন। ডার্ক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ২৫ ওভারে ১৬৬ রান।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্জয়ের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন মারমুখী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রফিকক। শুরুতেই আউট হন নাঈমুর। রফিক ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড় ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ২৬, আমিনুল ইসলাম ৩৭ ও আকরাম খানের ২২ রানের ইনিংসে সুবাদে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। খালেদ মাসুদের একটি ছয়ে জয়টা হাতের নাগালে চলে আসে। শেষ বলে দরকার ছিল এক রান। হাসিবুল হোসেন শান্ত কোনো রকম বল পায়ে লাগিয়ে দৌড় আর এতেই বাংলাদেশের স্বপ্নের বীজ বোনা হয়ে যায়।
কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ। পাশাপাশি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার টিকিটাটাও নিশ্চিত করেছিল আকরাম খানের দল।
টাইগারদের এই হুংকার বিশ্ব শুনেছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপেই। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সূচনা হয়। এরপর সেই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানকেও হারিয়ে বাংলাদেশ জানান দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন এক পরাশক্তির আগমনী বার্তা। যেই বার্তা শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে। আজ সেই বার্তার ২৩ বছর পূর্ণ হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
আরএআর/এমএমএস