আইপিএলের এবারের আসর গত ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
এদিকে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দুশ্চিন্তা কমাতে নিজ থেকেই এগিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। বিসিসিআই'র কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা একটি চিঠির মাধ্যমে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব রেখেছে।
'ডেইলি লঙ্কাদীপা' পত্রিকাকে এসএলসি'র প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা বলেন, 'আইপিএল বাতিল হলে বিসিসিআই এবং তাদের অংশীদারদের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই অন্য কোনো দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে তারা সেই ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে। '
শ্রীলঙ্কা কেন আইপিএল আয়োজন করতে চায় তা নিয়ে তিনি বলেন, 'তারা (বিসিসিআই) যদি এটা (আইপিএল) শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করে, তাহলে ভারতীয় দর্শকরা সহজেই টেলিভিশনে এটা উপভোগ করতে পারবেন। এটার একটা সম্ভাবনা এজন্য আছে যে এর আগে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল আয়োজন করেছে। আমরা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছি। এখন ভারতীয় বোর্ডের জবাবের অপেক্ষায় আছি। '
এর আগে দু'বার ভারতের বাইরে আইপিএল আয়োজন করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসরের প্রথম দুই সপ্তাহের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হয়েছিল।
আইপিএল আয়োজন করে লাভের মুখ দেখবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটও। সিলভা নিজেই বলেন, 'ভারতীয় বোর্ড রাজি হলে আমরা সবধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করব। এটা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের জন্যও ভালো আয়ের পথ তৈরি করবে। '
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ভারতের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল। এই সাফল্যের কারণ শুরু থেকেই কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ। দেশটির সরকার যে করেই হোক করোনাকে পরাস্ত করতে চায়। আর এটা সম্ভব হলে শ্রীলঙ্কায় আইপিএল আয়োজন অসম্ভব হবে না।
ভারতের মাটিতে আইপিএল আয়োজন করার আশা অবশ্য ছাড়েনি বিসিসিআই। আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে তারা। তবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলেই কেবল এটা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এমএইচএম