এ ব্যাপারে এক টুইটে পিসিবি জানায়, ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহানের বিচারে উমর আকমল সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেল।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চলছিল উমর আকমলের।
উমর আকমল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, একটি ম্যাচে দুটি বল ছেড়ে দেয়ার জন্য তিনি বাজিকরদের কাছ থেকে ২ লাখ ডলারের প্রস্তাব পান। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার জন্যও তার কাছে প্রস্তাব আসে।
আপিলের সুযোগ থাকলেও অবশ্য বোর্ডের আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে তা না করার সিদ্ধান্ত নেন উমর আকমল। তাই তার শাস্তি নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে আপিল না করায় শাস্তি কম হতে পারে বলে গণমাধ্যমে বলা হচ্ছিল ধারণা করা হচ্ছিল। অবশেষে তাই হলো।
বরাবরই বিতর্কের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটসম্যান আরও জানান, তাকে আইসিসি বিশ্বকাপেও ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। যেখানে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপও ছিল। তবে বাজিকরদের এসব প্রস্তাব তিনি অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কাছে জানিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোডের ২.৪.৪ ও ২.৪.৫ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ক্রিকেটার বাজিকরদের কু-প্রস্তাব জানাতে ব্যর্থ হয়, তবে কমপক্ষে পাঁচ বছরের সাজা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এমএমএস