ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘আরাম’ ছেড়ে প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন শোয়েব আখতার!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
‘আরাম’ ছেড়ে প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন শোয়েব আখতার! প্রধান নির্বাচক পদে মিসবাহ-উল-হকের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন শোয়েব আখতার/ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের পদ সামলাচ্ছেন মিসবাহ-উল-হক। বিষয়টা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে অনেক।

এবার শোনা যাচ্ছে, সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ককে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এরইমধ্যে নাকি প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন শোয়েব আখতার। বৃহস্পতিবার আলোচনার বিষয়টি তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু খোলাসা করেননি তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটা ইঙ্গিতে জানিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।

‘ক্রিকেট বাজ’ নামের একটি ইউটিউব শোয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শোয়েব আখতার বলেন, ‘আমি এটা অস্বীকার করব না। হ্যাঁ, বোর্ডের সঙ্গে কিছু আলোচনা হয়েছে এবং পাকিস্তান ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার আগ্রহ আছে আমার। তবে এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। ’

হেড কোচ মিসবাহকে বাড়তি চাপ থেকে মুক্ত রাখতেই প্রধান নির্বাচক পদে অন্য কাউকে নিয়োগ দিতে চায় পিসিবি। এছাড়া বিসিবি’র নতুন নীতিমালা অনুযায়ী একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে শোয়েব আখতারের ওই পদে আসীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর তাতে রাজিও আছেন এই সাবেক ‘গতিদানব’।

তিনি বলেন, ‘আমি খুব আরামদায়ক জীবনযাপন করি। আমি আমার ইচ্ছা অনুযায়ী ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু আমি এখন থিতু হয়েছি। কিন্তু আমি এই আরাম ছাড়তে এবং পিসিবির জন্য যেকোনো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে রাজি আছি। আমি অন্যদের উপদেশ দিতে ভয় পাই না। যদি সুযোগ আসে আমি সময় দিতে রাজি আছি। ’

তবে পিসিবি’র সঙ্গে কি নিয়ে আলোচনা করেছেন তা প্রকাশ করতে রাজি নন শোয়েব, ‘কিছু আলোচনা হয়েছে। তবে আমি এপর্যন্তই প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু কিছুই চূড়ান্ত নয়। তবে আলোচনা চলছে। আমি এখনও “হ্যাঁ” বলিনি, পিসিবিও “হ্যাঁ” বলেনি। ’

যদি প্রধান নির্বাচকের পদে কাজ করতে রাজি হন, তাহলে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় হবেন যিনি ‘পদের চেয়েও বড়’ কেউ হবেন। কারণ তারা চেয়ে বেশি কেউ জানে না! তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই না, কিন্তু এটা সত্য। দেখুন আমি চাকরি চাই না এবং আমার বেতনেরও দরকার নেই। মানুষ চাকরি চায় এবং তারা বেতনের জন্যই কাজ করে, কিন্তু আমার অর্থের প্রয়োজন নেই। ’

শোয়েব আখতার এমন একটি বিশ্বমানের দল গড়তে চান যারা পাকিস্তান ক্রিকেটকে দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আমি আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত। কারণ আমি এমন একটা নতুন প্রজন্মের দল গড়ে তুলতে চাই যারা আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে। আমাদের এমন কয়েকজন খেলোয়াড় দরকার যারা আমাদের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, জাভেদ মিয়াঁদাদ কিংবা মুশতাক মোহাম্মদের মতো মানসিকতা নিয়ে খেলবে। ’

তার মতে বর্তমান পাকিস্তান দলটির মূল সমস্যা তারা পরাজয়কে ভয় পায় এবং খেলোয়াড়রা নিরাপত্তাহীন। তিনি বলেন, ‘এই মানসিকতা বদলাতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমি যদি দলের সঙ্গে থাকতাম তাহলে ১১৭ রানে ৫ উইকেট ফেলার পরও ইংল্যান্ডের কাছে দল হারতো না। শীর্ষ ক্রিকেটে আগ্রাসী মানসিকতা দরকার। আমি সবসময় কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বাস করি। ’ তিনি বর্তমান কোচ মিসবাহকে ফলাফল নিয়ে না ভেবে নিজের কয়েকজন উত্তরাধিকার রেখে যাওয়ারও পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।