ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নীরবেই অবসরে মারলন স্যামুয়েলস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২০
নীরবেই অবসরে মারলন স্যামুয়েলস

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপাজয়ী দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের সর্বোচ্চ স্কোরার মারলন স্যামুয়েলস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এক সময়ের তারকা এ ক্রিকেটর অনেকটা নীরবেই বিদায় বললেন।

ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফোকে এমন তথ্য নিশ্চিত করে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ জানান, গত জুনেই স্যামুয়েলস বোর্ডকে তার অবসরের ব্যাপারটি জানায়। ফলে ২০১৮ সালের বাংলাদেশ সফরই এই ডানহাতির ক্যারিয়ারের শেষ হয়ে থাকলো।

সফলতা ও বিতর্কের সমন্বয়ে গড়া স্যামুয়েলস ক্যারিয়ারে অনেক কিছু দেখেছেন। ২০১২ কলম্বোর টি-টোয়েন্টি ফাইনালে নেমে শুরুটা বেশ ধীরেই করেছিলেন তিনি। প্রথম ৩২ বলে মাত্র ২০ রান তোলেন। ক্যারিবীয়ানরা প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ করেছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন স্যামুয়েলস। লাসিথ মালিঙ্গা ও অজান্তা মেন্ডিসের মতো তারকাদের ছাতু বানান। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৭৮ রান করেন। পরে স্পিন বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৫ রানে একটি উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা নিশ্চিত করেন।

চার বছর পর ফের জাদু দেখান স্যামুয়েলস ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কলকাতার ফাইনালে ৬৬ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ফের বিশ্বকাপ জেতান। আর বৈশ্বিক কোনো আসরের ফাইনালে দুবার ম্যাচসেরা হওয়া একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখান।

২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া স্যামুয়েলস ৭১ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩২.৬৪ গড়ে ৩ হাজার ৯১৭ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি ৭টি, ৫টিই দেশের বাইরে। সর্বোচ্চ ২৬০ বাংলাদেশের বিপক্ষে খুলনায়। ওয়ানডেতে ২০৭ ম্যাচে ৫ হাজার ৬০৬ রান করেছেন ৩২.৯৭ গড়ে। সেঞ্চুরি ১০টি, ৭টিই দেশের বাইরে। হাফ সেঞ্চুরি ৩০টি। টি-টায়েন্টিতে ৬৭ ম্যাচে ২৯.২৯ গড়ে রান ১ হাজার ৬১১। বল হাতেও তিনি ছিলেন দারুণ কার্যকর। অফ স্পিনে টেস্টে উইকেট ৪১টি, ওয়ানডেতে ৮৯টি, টি-টোয়েন্টি ২২টি। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অবশ্য তাকে ভুগতে হয়েছে অনেক।

জাতীয় দলের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটেও একটা সময় দাপটের সঙ্গে খেলেছেন স্যামুয়েলস। তিনি আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশ, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, এসএলপিএল, সিপিএল ও পিএসএলে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন।

এসবের বাইরেও অবশ্য বিতর্কিত কয়েকটি ঘটনায় বেশ কয়েকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন স্যামুয়েলস। ২০০২ সালের ভারত সফরে টিম কারফিউ ভাঙেন। ২০০৮ সালে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হন দুই বছরের জন্য। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর একাই সংবাদ সম্মেলনে এসে টেবিলের ওপর দুই পা তুলে কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। এছাড়াও বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নের দিকে ব্যাট ছুঁড়ে মারা, ওয়ার্নের সঙ্গে পরেও নানা বিতর্ক, বেন স্টোকসের সঙ্গে লড়াই এবং আরও নানা বিতর্কে স্যামুয়েলস আলোচনায় ছিলেন নিত্যই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।