বাংলাদেশের ক্রিকেটে খালেদ মাহমদু সুজনের খ্যাতি 'ফাইটার' হিসেবে। কম গতির মিডিয়াম পেস কিংবা মিডল অর্ডারের ব্যাটিং দিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে যেতেন তিনি।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর সেই সুজন এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বহু দায়িত্বে আছেন। বিসিবি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংগঠক এবং বিভিন্ন দলের কোচিং-সব দায়িত্ব একসঙ্গে সামলান। প্রচুর সমালোচনাও শুনতে হয়। তবে ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার জানালেন, বয়স বেড়ে গেলেও লড়াকু মানসিকতাটা থেকে গেছে।
কক্সবাজারে দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে চলছে 'লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়নস ট্রফি'। টুর্নামেন্টে খেলছেন সুজন। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেও যেন নিবেদনের কমতি নেই সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের। শুক্রবার ম্যাচ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'মাঠে আসলে অবশ্যই আমরা লড়াইয়ের চেষ্টা করি। তবে সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটাই মূল প্রায়োরিটি। এখন তো বয়স হয়ে গেছে, আগের মতো আর পারা যায় না। তবু চেষ্টা থাকে ফাইট করার। '
খেলা ছেড়েছেন বহুদিন। বয়সও কম হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই মাঠে নামলে হাঁপিয়ে উঠতে হয়। সুজন বলেন, 'ফাইট দেয়ার তাড়না ভেতর থেকেই আসে। তবে শরীর ওভাবে পারমিট করে না। কিন্তু মানসিকভাবে তো তাড়না আসেই, সেই চেষ্টাটাই থাকে। কিন্তু ফিজিক্যালি পারমিট করে না। একটা গেট টুগেদার হচ্ছে। অনেক বছর একসাথে কাটাইছি, খেলছি। এখন ব্যস্ততার কারণে অনেকের সাথে দেখা হয় না। এই টুর্নামেন্টটা হইলে সবার সাথে দেখা হয়, কথা হয়, ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে। নিজেদের মধ্যে কথা বলি, অনেক নস্টালজিক হয়ে যাই আমরা। '
খালেদ মাহমুদ সুজন মিডিয়াম পেসার হলেও আজ তাকে স্পিনার হিসেবেও দেখা যায়। বল হাতে ২ ওভারে ৮ রানে শিকার করেছেন ২ উইকেট! এর মধ্যে একটি উইকেট পেস বোলিংয়ে আরেকটি স্পিনে! সুজনের হাতে অফস্পিন দেখে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। এ নিয়ে তিনি জানান, একটা সময় নাকি অফস্পিনই করতেন। ৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা সুজনকে আজও ওপেন করতে দেখা যায়। ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে করেন ৯ বলে ১৩ রান। তাছাড়া ফিল্ডিংয়ের সময় বাতাসে অনেকক্ষণ ভেসে থাকা একটি ক্যাচও তালুবন্দি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এমএইচএম