ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাঞ্জাবকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো কলকাতা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
পাঞ্জাবকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো কলকাতা ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১০ রানে হারিয়ে শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু এরপর টানা ৪ ম্যাচ হেরে খাদের কিনারে চলে যায় মরগানবাহিনী।

অবশেষে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো তারা।  

সোমবার রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ বল হাতে রেখে জিতে যায় কলকাতা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কলকাতার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। স্কোর বোর্ডে মাত্র ৯ রান উঠতেই বিদায় নেন দুই ওপেনার শুভমান গিল (৯) ও নিতিশ রানা (০)। বল হাতে চমক দেখালেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সুনীল নারাইনও (০)। তবে এরপর রাহুল ত্রিপাঠী ও ইয়ন মরগান মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন।  

শুরুতে দারুণ ছন্দে থাকা রাহুলকে স্ট্রাইক দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দেন মরগান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দেন রাহুল। আর তাতেই জুটিতে উঠে আসে ৬৬ রান। ৩২ বলে ৭ চারে ৪১ রান করে রাহুল যখন দীপক হুডার বলে শাহরুখ খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন পুরোপুরি কলকাতার হাতেই।

রাহুল ত্রিপাঠীর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা আন্দ্রে রাসেল (১০) ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন। তবে আর কোনো বিপদ হতে দেননি চলতি আসরে ব্যাট হাতে ফর্ম খুঁজে ফেরা মরগান। দীনেশ কার্ত্তিককে (১২*) নিয়ে বাকি কাজ সহজেই সারেন বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৪০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেলার পথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭ হাজারি ক্লাবেও প্রবেশ করেন মরগান।

বল হাতে পাঞ্জাবের মোইজেস হেনরিকস, মোহাম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং এবং দীপক হুডা ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।

এর আগে কলকাতার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেননি পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং জুটিতে লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৬ রান তোলার পর আর ২৪ রান যোগ হতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাঞ্জাব। রাহুল বিদায় নেন ১৯ রানে। ২ চার ও ছক্কা হাঁকালেও পাঞ্জাবের অধিনায়ক বল খেলেন ২০টি।

মাঝে ক্রিস গেইল (০) ও দীপক হুডা (১) দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর আগারওয়ালও একই পথ ধরেন। সুনীল নারাইনের শিকার হওয়ার আগে ৩৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এরপর ১৯ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন নিকোলাস পুরান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মাঝে ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্রিস জর্ডান। আর তাতেই ১২০ ছাড়ায় পাঞ্জাবের ইনিংস।  

বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন কলকাতার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তবে ২ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে নারাইন এবং ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচে ১ উইকেট তুলে নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শিভব মাভি। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচে ১ উইকেট তুলে নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী এবং ৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করলেও ২ উইকেট গেছে প্যাট কামিন্সের ঝুলিতে। কোনো উইকেট না পেলেও ১ ওভার বল করে মাত্র ২ রান খরচ করেছেন আন্দ্রে রাসেল।

৬ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পাওয়া কলকাতা পয়েন্ট টেবিলের আট থেকে পাঁচে উঠে এসেছে। সমান জয় নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় ছয়ে নেমে গেছে পাঞ্জাব। ৫ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে শীর্ষে আছে চেন্নাই সুপার কিংস। সমান জয় নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস ও তিনে আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।